বড় ভাইকে হত্যার দায়ে ছোট ভাইয়ের যাবজ্জীবন

শেরপুরে বড় ভাইকে হত্যার দায়ে মো. ইয়াকুব আলী (৫৫) নামে ছোট ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ জহিরুল কবির আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান জাগো নিউজকে রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সাজাপ্রাপ্ত মো. ইয়াকুব আলী নালিতাবাড়ী উপজেলার দক্ষিণ সন্যাসীভিটা গ্রামের মৃত নছিমুদ্দিন মুন্সীর ছেলে। আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৫ মার্চ বিকেল ৪টার দিকে নালিতাবাড়ী উপজেলার দক্ষিণ সন্যাসীভিটা গ্রামের নিজেদের বাড়ির আঙিনার একটি জাম গাছের ডাল কাটাকে কেন্দ্র করে ইয়াকুব আলী ও তার সহোদর বড় ভাই হাতেম আলীর (৪৫) মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ইয়াকুব আলী হাতেম আলীকে ধারালো দা দিয়ে ঘাড়ের পেছনে কোপ দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরবর্তীতে ৩১ মার্চ হাতেম আলী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ওই ঘটনায় মৃত হাতেম আলীর স্ত্রী মোছা. মাজেদা বেগম বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা ক

বড় ভাইকে হত্যার দায়ে ছোট ভাইয়ের যাবজ্জীবন

শেরপুরে বড় ভাইকে হত্যার দায়ে মো. ইয়াকুব আলী (৫৫) নামে ছোট ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ জহিরুল কবির আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান জাগো নিউজকে রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সাজাপ্রাপ্ত মো. ইয়াকুব আলী নালিতাবাড়ী উপজেলার দক্ষিণ সন্যাসীভিটা গ্রামের মৃত নছিমুদ্দিন মুন্সীর ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৫ মার্চ বিকেল ৪টার দিকে নালিতাবাড়ী উপজেলার দক্ষিণ সন্যাসীভিটা গ্রামের নিজেদের বাড়ির আঙিনার একটি জাম গাছের ডাল কাটাকে কেন্দ্র করে ইয়াকুব আলী ও তার সহোদর বড় ভাই হাতেম আলীর (৪৫) মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ইয়াকুব আলী হাতেম আলীকে ধারালো দা দিয়ে ঘাড়ের পেছনে কোপ দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরবর্তীতে ৩১ মার্চ হাতেম আলী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ওই ঘটনায় মৃত হাতেম আলীর স্ত্রী মোছা. মাজেদা বেগম বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্ত শেষে বিচারিক পর্যায়ে মামলার বাদী, প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী, তদন্তকারী কর্মকর্তা, ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকসহ মোট ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানামূলে আসামিকে শেরপুর জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

মো. নাঈম ইসলাম/এমএন/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow