ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির কারণে সারাদেশের ক্ষুদ্র উদ্যোগ বড় রকমের চাপের মধ্যে পড়েছে। দেশজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লাখ লাখ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এখন হতাশ। ইতোমধ্যে তারা তাদের হতাশা প্রকাশ করেন। সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান তৈরি করেন তারা, সামনের দিন আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন কি না এটা নিয়েও দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে আছেন। এসব ব্যবসার সঙ্গে নির্ভরশীল পরিবারগুলোও কিন্তু বড় রকমের ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গেছেন।
জাগো নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবির।
- আরও পড়ুন
- রেস্তোরাঁয় ভ্যাট ফিরছে আগের হারে, কমতে পারে ইন্টারনেট-ওষুধেও
- শিক্ষার্থীদের টিফিনেও ভ্যাটের ‘বাগড়া’
- যারা ভ্যাট বসাচ্ছেন তারা পণ্যের কস্ট অ্যানালাইসিস করেননি
- পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে, শঙ্কা কারসাজি নিয়ে
অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন ইউনিভার্সিটি স্কুল অব ইকোনমিক্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি করেন মাহফুজ কবির। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) হঠাৎ করে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছে জাগো নিউজ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জাগো নিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক মো. সামিউর রহমান সাজ্জাদ।
মানুষ ভয় পাচ্ছে যে আবার নতুন কোনো পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রে ভ্যাট বসানো হয় কি না, নতুন আইন করা হয় কি না। একটা আতঙ্ক কাজ করছে মানুষের মধ্যে।
জাগো নিউজ: বছরের মাঝখানে সরকারের ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর কারণ কী? এর কোনো যৌক্তিকতা আদৌ আছে?
মাহফুজ কবির: সরকারের কাছে এই মুহূর্তে টাকা নেই। একটা অর্থ সংকট রয়েছে এবং বড় আকারের বাজেট বাস্তবায়ন করতে হবে। পাশাপাশি গত বছরের এই সময়ের তুলনায় রাজস্ব আদায়ও তুলনামূলক কম হয়েছে। ফলে দেখা যাচ্ছে যে এসব কারণে আমাদের রাজস্ব আদায় বাড়াতে হবে। অন্যদিকে যারা উন্নয়ন সহযোগী তারাও সেভাবে বাজেট সহায়তা দিচ্ছে না এই মুহূর্তে। তাদের প্রতিশ্রুতি রয়েছে, ঠিক আছে। কিন্তু যতটুকু পরিমাণ সহায়তা দরকার, সে পরিমাণে সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে না উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে।
অন্যদিকে ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নেওয়া যাচ্ছে না। তারা কীভাবে ঋণ দেবে? তাদেরই তো তারল্য সংকট রয়েছে। আবার যাদের তারল্য ঘাটতি রয়েছে তারা যে ব্যাংকে উদ্বৃত্ত আছে তাদের থেকে ইন্টার ব্যাংক বোরোইংয়ের মাধ্যমে টাকা নিচ্ছে। ফলে সরকার যে ব্যাংকগুলো থেকে ধার করবে সেটা কঠিন বা অনিশ্চিত। শেষমেশ একটাই পথ খোলা আর তা হচ্ছে শুল্কহার বাড়ানো। এটা কিন্তু খুব জনপ্রিয় পদ্ধতি নয়।
এই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে মানুষের অনেক প্রত্যাশা। এই জায়গায় অর্থবছরের মাঝে এসে তারা যে আইন করে ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়ালো, এটা মানুষের মধ্যে বড় একটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে এবং হতাশা বেড়েছে। এটা একটা নজিরবিহীন ঘটনা। আমরা গত ২০ বছরে শুনিনি বা দেখিনি এরকম করে অর্থবছরের মাঝে এসে হঠাৎ করে শুল্ককর বাড়ানো হলো এবং বিপুল সংখ্যক পণ্য ও সেবার ওপর এটা করা হলো।
অন্য সময় বছরের যে কোনো সময় এসআরও দিয়ে একটা বা দুটি পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে কর বাড়ানো হতো। কিন্তু এটাও খুব অপ্রতুল। এখন যে জিনিসটা করা হলো এতে মানুষ ভয় পাচ্ছে যে আবার নতুন কোনো পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রে ভ্যাট বসানো হয় কি না, নতুন আইন করা হয় কি না। একটা আতঙ্ক কাজ করছে মানুষের মধ্যে। সরকার যে পারে না সে রকম নয়। সরকার আইন করে যে কোনো সময় করহার বাড়াতে পারে। কিন্তু সেটার সামাজিক, অর্থনৈতিক প্রভাব কী হবে, যে আশায় তারা করহার বাড়াচ্ছেন সেই আশা পূরণ হবে কি না সেটাও একটা চিন্তার বিষয়। এ বিষয়গুলো আমাদের ভাবতে হবে।
সীমিত আয়ের বেতনভুক্ত যে সব মানুষ তাদের তো বেতন বাড়ছে না। নতুন করে কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হচ্ছে না। ফলে হঠাৎ করে পণ্য ও সেবার ব্যয় বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে।
জাগো নিউজ: ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় কী প্রভাব পড়বে?
মাহফুজ কবির: সম্প্রতি ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং এমন সব পণ্যে বাড়ানো হয়েছে যেগুলো সীমিত আয় ও নিম্ন আয়ের মানুষজনও ভোগ করে। দেশের সিংহভাগ সাধারণ মানুষের ওপর ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। টয়লেট পেপার থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার, এলপি গ্যাসসহ এমন কোনো পণ্য বা সেবা নেই যেখানে সম্পূরক শুল্ক ও ভ্যাট বাড়ানো হয়নি।
এমনকি তৈরি পোশাকের যে আউটলেটগুলো আছে সেখানে ইতোমধ্যে তারা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। টেইলারিং শপ যেখানে মানুষ পোশাক বানায় সেখানেও এটা করা হয়েছে। এমনকি পেইন্টিং বা দেওয়ালে রং করা, এখন তো গ্রামগঞ্জে অসংখ্য বিল্ডিং হচ্ছে সেখানে রং করা হচ্ছে, গাড়ি, রিকশার মধ্যে পেইন্ট করা হয়, সেখানেও কর বাড়ানো হয়েছে। ফলে এসব পণ্য ও সেবার দাম বেড়ে যাচ্ছে।
- আরও পড়ুন
- ‘দেশে বিনিয়োগ না হওয়ার প্রধান কারণ অসঙ্গত নীতি’
- চুরি বন্ধ হলে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হবে না
- আমদানি-রপ্তানি পণ্য খালাসে ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন শর্ত
- রেস্তোরাঁ ব্যবসায় ভ্যাট না বাড়িয়ে আওতা বাড়ানোর দাবি মালিকদের
প্রতিটি মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় কিন্তু বেড়ে গেলো। কিন্তু এটা বুঝতে হবে যে মানুষের আয় বাড়ছে না। শ্রমিকের মজুরি সামান্য পরিমাণে বাড়ছে কিন্তু সব জায়গায় বাড়ছে না। সীমিত আয়ের বেতনভুক্ত যে সব মানুষ তাদের তো বেতন বাড়ছে না। নতুন করে কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হচ্ছে না। ফলে হঠাৎ করে পণ্য ও সেবার ব্যয় বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে।
আমি যেটা আশঙ্কা করছি ইতোমধ্যে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। ফলে খাবারের ব্যয় বেড়ে গেছে। কিন্তু খাবার তো বন্ধ করা যায় না। মানুষ হয়তো কিছু কম পুষ্টিকর খাবার খাচ্ছেন। কিন্তু অন্য যে সব খরচ যেমন: শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি ইত্যাদি ক্ষেত্রে মানুষের খরচ করার ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। ফলে এসব ক্ষেত্রে বড় ধরনের ক্ষতি হচ্ছে। ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাবে মানুষের এসব খাতে ব্যয় করার সক্ষমতা কমে যাবে।
জাগো নিউজ: ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের পরিস্থিতি কী হবে?
মাহফুজ কবির: এখন কিন্তু বাংলাদেশে ক্ষুদ্র উদ্যোগই বেশি। লাখ লাখ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা যারা চিন্তা-ভাবনা করছিলেন যে এ সময়ে ব্যবসা-বাণিজ্য একটু গোছাবেন যেহেতু সামনে নির্বাচন আসছে, সংস্কার হচ্ছে। তারা একটু আশা করছিলেন যে সরকার বিশেষ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের দিকে একটু মুখ তুলে তাকাবেন। কিন্তু এখন তারা অনেকটাই হতাশ। কারণ, এই যে সম্পূরক শুল্ক, ভ্যাট যখন একটু কম ছিল এ সময়ে কেউ হয়তো ফলমূলের ব্যবসা করবেন বা পেইন্টিংয়ের ব্যবসা করবেন, ছোটোখাটো একটা হোটেলের ব্যবসা করবেন, রেস্টুরেন্ট খুলবেন বা যাদের এখনই আছে তারা চিন্তা করছিলেন ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে বা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা বড় করবেন। এখন কিন্তু কেউ ভরসা করতে পারছেন না। তারা হতাশ যে এখন কী করবেন।
সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি যে উদ্যোগ এগুলো কিন্তু অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। কারণ তারা সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি এবং গ্রামগঞ্জে প্রত্যন্ত এলাকায় তারা ছড়িয়ে আছেন। কারও হয়তো একটা ছোটো ওয়ার্কশপ আছে বা কৃষিভিত্তিক একটা শিল্প, কেউ হয়তো পরিবহনের ব্যবসা করছেন, কেউ রঙের কাজ করেন। আবার ছোটোখাটো যে অবকাঠামোগত বা হাউজিংয়ের কাজ হচ্ছে সারাদেশে, সেখানেও দেখা যাচ্ছে এখন পেইন্টিংয়ের খরচ বেশি। সব মিলিয়ে খরচ বেশি হবে।
মূল কথা হচ্ছে, দেশজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লাখ লাখ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এখন হতাশ। ইতোমধ্যে তারা তাদের হতাশা প্রকাশ করেছেন। তারা যেহেতু সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান তৈরি করেন। তারা সামনের দিনে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন কি না এটা নিয়েও দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে আছেন। এসব ব্যবসার সঙ্গে নির্ভরশীল যেসব পরিবার তারাও কিন্তু বড় রকমের ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গেছেন। ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির কারণে সারাদেশের ক্ষুদ্র উদ্যোগ বড় রকম চাপের মধ্যে পড়ে গেছে।
ইতোমধ্যে অনেক জায়গায় বিক্রি কমে গেছে বা কমার পর্যায়ে আছে। ফলে নতুন বিনিয়োগ কম আসবে। এমনিতেই বেসরকারি বিনিয়োগ কম, বিদেশি বিনিয়োগ আসছে কম।
জাগো নিউজ: ব্যবসা-বাণিজ্যে এই ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাব কী?
মাহফুজ কবির: অবশ্যই ব্যবসা-বাণিজ্যে এই ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির বড় রকমের প্রভাব রয়েছে। প্রথমত, তাদের যে বিক্রি অর্থাৎ পণ্য ও সেবা উভয়ের বিক্রি কমে যাবে। কারণ মানুষ ইতোমধ্যে সতর্ক হয়ে গেছে যে অনেকখানি ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বেড়েছে। মোবাইল বা ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে যে একদিকে সম্পূরক শুল্ক বেড়েছে ২০ থেকে ২৩ শতাংশ অন্যদিকে ইন্টারনেট যেখানে একেবারেই কর ছিল না সেখানে এখন ১০ শতাংশ কর ধার্য করা হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে আসলেই নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
এখন যারা ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার তাদের ওপর একটা চাপ তৈরি হলো। একইসঙ্গে মোবাইলে যে কথা বলা অর্থাৎ মানুষের যোগাযোগ কমে যাওয়ার কারণে কোম্পানিগুলোর প্রফিট মার্জিন কমে যাবে। কিন্তু তারা আগেই বিনিয়োগ করে বসে আছেন। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের যে বাজেট ঘোষণা করা হয়েছিল তখন কিন্তু এই ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক ছিল না। এভাবে বছরের মাঝে হঠাৎ শুল্ক বৃদ্ধি পেলেও তারা কিন্তু বিনিয়োগ সরিয়ে ফেলতে পারবেন না।
তাই তাদের প্রফিট মার্জিন কমলেও কিছু করার নেই। উৎপাদন খরচ বেড়ে গেলেও তারা বড় রকমের চাপের মধ্যে পড়বেন। তারা যে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন তা পরিশোধ করা তাদের জন্য দুষ্কর হয়ে যাবে। তারা হয়তো কর্মী ছাঁটাই করবেন। কম মুনাফায় তারা আগের মতো কর্মী রাখতে পারবেন না। ফলে সেখানে বেকারত্ব তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
- আরও পড়ুন
- ফের সুদহার বাড়লে বাধাগ্রস্ত হবে ব্যবসা-কর্মসংস্থান
- ‘এখন গ্যাসের দাম বাড়ানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই’
- কর বৃদ্ধির পর কতটা বাড়বে এসি-ফ্রিজের দাম?
- ইন্টারনেটসহ শতাধিক পণ্যে খরচ বাড়লো
গ্রামগঞ্জে এখন হোটেল-রেস্টুরেন্টের মতো অজস্র ব্যবসা রয়েছে, থ্রি-স্টার, ফোর-স্টার হোটেল তৈরি হচ্ছে। এসব জায়গায় যখন ভ্যাট বেড়ে গেলো, তার মানে সেখানে এখন কাস্টমার কম যাবে। ফলে তাদের প্রফিট মার্জিন কিন্তু কমে গেলো। অন্যান্য অনেক পণ্য বা সেবা রয়েছে যেখানে বিক্রি কম হচ্ছে। ফলে তাদের কিন্তু মুনাফা কম হবে। আবার তাদের ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে হবে। সেটারও একটা চাপ কিন্তু রয়েছে। আবার ব্যাংকে সুদের হার বেশি। ফলে এক রকম উভয় সংকটের মধ্যে পড়বেন ব্যবসায়ীরা।
ইতোমধ্যে অনেক জায়গায় বিক্রি কমে গেছে বা কমার পর্যায়ে আছে। ফলে নতুন বিনিয়োগ কম আসবে। এমনিতেই বেসরকারি বিনিয়োগ কম, বিদেশি বিনিয়োগ আসছে কম। এ অবস্থায় ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির ফলে নতুন করে মানুষ পারতপক্ষে নতুন বিনিয়োগ করতে চাইবেন না বা বিনিয়োগ করলেও কম করবেন। যে ব্যবসা ইতোমধ্যে আছে তাদের নতুন বিনিয়োগ হয়তো কিছুটা কম হবে বলে মনে করছি।
এসআরএস/এমএমএআর/জিকেএস