দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ভূ-গর্ভে হাইড্রলিক জগের নিচে চাপা পড়ে চায়না শিফট ম্যানেজার মি. ওয়াং জিয়ান গুয়ো (৫৬) নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় কয়লা খনির ১২৩৫ ফুট ভূ-গর্ভের নিচে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বুধবার (৯ জুলাই) পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা হয়েছে। নিহত ওয়াং জিয়ান গুয়োর সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এক্সএমসি-সিএমসি কনসোর্টিয়ামের অধীনে চায়না নাগরিক মি. ওয়াং জিয়ান গুয়ো ভূ-গর্ভের ১৩০৫ নম্বর ফেইসের ভূ-গর্ভে কাজ করছিলেন। এসময় ট্রাক গেইট থেকে হাইড্রোলিক সাপোর্ট বের করার সময় অসাবধানতাবসত স্টিল রোপের সঙ্গে আটকে যান। এতেই তিনি হাইড্রলিক জগের নিচে চাপা পড়েন। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপার বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) খান মো. জাফর সাদিক বলেন, গত ২৩ জুন খনির ১৩০৫ নম্বর ফেইসে কয়লা মজুত হলে সেই সরঞ্জাম নতুন ১৪০৫ নম্বর ফেইজে আনার কাজ চলছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এক্সএমসি-সিএমসি কনসোর্টিয়ামের অধীনে ভূ-গর্ভের ১৩০৫ নম্বর ফেইসে ট্রাক গেইট থেকে হাইড্রোলিক সাপোর্টগুলি বের করার সময় অসাবধানতায় স্টিল রোপের সঙ্গে আটকে গুরুতর আহত হন চায়না শিফট ম্যানেজার মি.ওয়াং জিয়ান গুয়ো। পরে রংপুর মেডিকেল হাসপাতাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যান।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুরে পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির পাশে পরিত্যক্ত ডেটোনেটর (এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) বিস্ফোরণে মাদরাসাছাত্র ইলিয়াস হোসেনের (১০) ডান কবজি উড়ে যায়। সে চৌহাটি গ্রামের বাসিন্দা আশরাফুল ইসলামের ছেলে ও সে স্থানীয় চৌহাটি ছালেফিয়া মাদরাসার নাজরা বিভাগের শিক্ষার্থী। বর্তমানে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে সে।
এমদাদুল হক মিলন/এফএ/এমএস