বড়পুকুরিয়ায় কয়লা স্তূপে ধস
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে অবস্থিত দেশের একমাত্র ভূগর্ভস্থ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে ধসের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ধসের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, বড়পুকুরিয়া খনির কয়লা দিয়ে পরিচালিত হয়ে আসছিল ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিট। এর মধ্যে একটি ইউনিট ২৭৫ মেগাওয়াট ও বাকি দুই ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ১২৫ করে মোট ২৫০ মেগাওয়াট। কেপিআই (অতিগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা) দুটি পাশাপাশি হওয়ায় বেল্টের মাধ্যমে কয়লাখনির ইয়ার্ড থেকে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা সরবরাহ করা হতো। তবে, দীর্ঘদিন যাবৎ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুইটি ইউনিটের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ থাকায় খনির কোল ইয়ার্ডে প্রতিনিয়তই বাড়তে থাকে কয়লার মজুদ। সাধারণত কয়লাস্তুপের উচ্চতা সর্বোচ্চ ২৫-৩০ ফিট করার নিয়ম থাকলেও জায়গা না থাকায় ৩টি ইয়ার্ডে প্রায় অর্ধশত মিটারের বেশি উচ্চতা করে কয়লা মজুদ করা হয়। প্রতিনিয়তই রোদে পুড়ে যাওয়ার পাশাপাশি এসব কয়লায় অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটছে। এরই অংশ হিসেবে দুর্ঘটনা রোধে বুধবার সকাল
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে অবস্থিত দেশের একমাত্র ভূগর্ভস্থ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে ধসের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ধসের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, বড়পুকুরিয়া খনির কয়লা দিয়ে পরিচালিত হয়ে আসছিল ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিট। এর মধ্যে একটি ইউনিট ২৭৫ মেগাওয়াট ও বাকি দুই ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ১২৫ করে মোট ২৫০ মেগাওয়াট। কেপিআই (অতিগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা) দুটি পাশাপাশি হওয়ায় বেল্টের মাধ্যমে কয়লাখনির ইয়ার্ড থেকে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা সরবরাহ করা হতো।
তবে, দীর্ঘদিন যাবৎ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুইটি ইউনিটের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ থাকায় খনির কোল ইয়ার্ডে প্রতিনিয়তই বাড়তে থাকে কয়লার মজুদ। সাধারণত কয়লাস্তুপের উচ্চতা সর্বোচ্চ ২৫-৩০ ফিট করার নিয়ম থাকলেও জায়গা না থাকায় ৩টি ইয়ার্ডে প্রায় অর্ধশত মিটারের বেশি উচ্চতা করে কয়লা মজুদ করা হয়।
প্রতিনিয়তই রোদে পুড়ে যাওয়ার পাশাপাশি এসব কয়লায় অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটছে। এরই অংশ হিসেবে দুর্ঘটনা রোধে বুধবার সকালে কয়লার স্তূপে পাইপের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হয়। উচ্চতা বেশি থাকার কারণে ২ নম্বর কোল ইয়ার্ডে ২৫ ও ২৬ নম্বর নিরাপত্তা চৌকির মাঝামাঝি এলাকায় ধসের ঘটনায় সীমানা প্রাচীর ভেঙে যায়।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু তালেব ফরাজী বলেন, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র মজুদ কয়লার মূল্য পরিশোধ করলেও পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় আমাদের এখানে রাখা হয়েছে। বর্তমানে খনির তিনটি কোল ইয়ার্ডে প্রায় ৫ লাখ টন পাথর মজুদ রয়েছে বলে জানান তিনি।
What's Your Reaction?