ভবিষ্যৎ মন্ত্রীদের জন্য বিলাসবহুল গাড়ি কেনার এত আগ্রহ কেন

4 hours ago 4

মন্ত্রীদের জন্য বাড়তি দামে বিলাসবহুল গাড়ি কেনার প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রথম দফায় বাতিল হওয়ার পরও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় একই প্রস্তাব আবারও উত্থাপন করায় সংস্থাটি এটিকে স্ববিরোধী ও বিব্রতকর উদ্যোগ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, একজন মন্ত্রী কোন ধরনের পরিবহন সুবিধা পাবেন, তা আইন দ্বারা নির্ধারিত। দি মিনিস্টারস, মিনিস্টারস অব স্টেট অ্যান্ড ডিপুটি মিনিস্টারস (রিমুনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজেস) অ্যাক্ট, ১৯৭৩–এর ৬(এ) ধারা অনুযায়ী একজন মন্ত্রী সার্বক্ষণিক একটি সরকারি গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন। বর্তমান উপদেষ্টারাও এই সুবিধা ভোগ করছেন। তাহলে ভবিষ্যৎ মন্ত্রীদের জন্য আইনবহির্ভূতভাবে বিলাসবহুল টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার কেনার এত আগ্রহ কেন—তা বোধগম্য নয়।

তিনি আরও বলেন, অর্ন্তবর্তী সরকার যদি এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেয়, তাহলে প্রশ্ন উঠবে সরকারের ব্যয় সংকোচনের ঘোষণার বিপরীতে এই ব্যয় কেন প্রাধান্য পাচ্ছে। এটি জবাবদিহিমূলক সরকার ব্যবস্থার সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং স্ববিরোধী আচরণ হিসেবে প্রতীয়মান হবে।

টিআইবি মনে করে, গাড়ি কেনার এ ধরনের প্রস্তাব আসলে বিগত কর্তৃত্ববাদী সরকারের আমলের মতোই একশ্রেণির অতিউৎসাহী আমলাদের ‌‘তোষামোদিমূলক’ আচরণের পুনরাবৃত্তি। গণমাধ্যমে প্রকাশিত যুক্তি—যে বর্তমান গাড়িগুলো দিয়ে নির্বাচনী এলাকা সফর ও জরুরি কাজ করা সম্ভব নয়—এটিকে ‘বিস্ময়কর’ বলে উল্লেখ করেন ড. জামান।

তিনি বলেন, এ সিদ্ধান্ত কেবল সুবিধাবাদী আমলাদের প্রভাববলয়কে শক্তিশালী করবে, যা পতিত সরকারের আমলে স্বাভাবিকতায় পরিণত হয়েছিলো। তাই অনতিবিলম্বে এ প্রস্তাব বাতিল করে বিষয়টি পরবর্তী সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য স্থগিত রাখতে হবে।

এসএম/কেএইচকে/জেআইএম

Read Entire Article