ভর্তি পরীক্ষায় নেই ডাকসুর ‘হেল্পডেস্ক’, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিভিন্ন ইউনিটভিত্তিক ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এসব পরীক্ষায় আগত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সহায়তা করতে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের হেল্পডেস্ক দেখা গেলেও কোনো পরীক্ষাতেই ডাকসুর পক্ষ থেকে কোনো হেল্পডেস্ক দেখা না যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গেছে। এরই মধ্যে ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ), চারুকলা ইউনিট এবং ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ডাকসুতে বিজয়ী সংগঠন শিবির নিজস্ব নামে হেল্পডেস্ক পরিচালনা করলেও ডাকসুর পক্ষ থেকে আলাদা কোনো হেল্পডেস্ক না থাকা নিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন তুলেছেন। ঢাবি শিক্ষার্থীদের ফেসবুক গ্রুপ ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ-২’-এ আমিনুল হক অভি লিখেছেন, ‘নিজেদের ছাত্র সংগঠনের নামে হেল্পডেস্ক করলেন ঠিক আছে, কিন্তু ডাকসুর পক্ষ থেকে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কোনো আয়োজন নেই কেন? ভিপি-জিএস কেউ ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ক্যাম্পাসে আসলেন না, অভিভাবকদের জন্যও একটা বসার জায়গার আয়োজন করতে পারলেন না। তাহলে ডাকসু কি শুধু আপনাদের এলাকায় এল

ভর্তি পরীক্ষায় নেই ডাকসুর ‘হেল্পডেস্ক’, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিভিন্ন ইউনিটভিত্তিক ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এসব পরীক্ষায় আগত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সহায়তা করতে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের হেল্পডেস্ক দেখা গেলেও কোনো পরীক্ষাতেই ডাকসুর পক্ষ থেকে কোনো হেল্পডেস্ক দেখা না যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গেছে।

এরই মধ্যে ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ), চারুকলা ইউনিট এবং ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

ডাকসুতে বিজয়ী সংগঠন শিবির নিজস্ব নামে হেল্পডেস্ক পরিচালনা করলেও ডাকসুর পক্ষ থেকে আলাদা কোনো হেল্পডেস্ক না থাকা নিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন তুলেছেন।

ঢাবি শিক্ষার্থীদের ফেসবুক গ্রুপ ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ-২’-এ আমিনুল হক অভি লিখেছেন, ‘নিজেদের ছাত্র সংগঠনের নামে হেল্পডেস্ক করলেন ঠিক আছে, কিন্তু ডাকসুর পক্ষ থেকে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কোনো আয়োজন নেই কেন? ভিপি-জিএস কেউ ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ক্যাম্পাসে আসলেন না, অভিভাবকদের জন্যও একটা বসার জায়গার আয়োজন করতে পারলেন না। তাহলে ডাকসু কি শুধু আপনাদের এলাকায় এলাকায় খ্যাপ খাটার পরিচয়?’

এই পোস্টের মন্তব্যে ডাকসু নেতাদের উদ্দেশ্য করে আসিফ হোসাইন লিখেছেন, ‘ক্ষ্যাপ মারার পর টাইম থাকে কই?’ আরেকজন শিক্ষার্থী মঈনুদ্দিন গাউস লিখেছেন, ‘প্রয়োজন নেই, এখন নির্বাচনি টাইম। আমাদের নেতাদের সংসদ সদস্য হওয়া লাগবে। মাদার পার্টিকে জেতানো লাগবে। ক্যাম্পাসের আগে দেশের সেবা করা লাগবে।’

অন্যদিকে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ’ নামের আরেক ফেসবুক গ্রুপে হিমেল হাসান লিখেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খ্যাপমারা সংসদ (খ্যাপসু)। আইবিএ পরীক্ষার সময় ডাকসু থেকে কোনো হেল্প ডেস্ক ছিল না ৩০ হাজার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য। অনেক অভিভাবক হেল্পডেস্ক না থাকায় আক্ষেপ প্রকাশ করেন। তদ্রূপ বিজনেস স্টাডিজের ক্ষেত্রে নিজের সংগঠনভিত্তিক ডেস্ক বসালেও ঢাবির সব শিক্ষার্থীর প্রতিনিধি (ডাকসু) হিসেবে কোনো ডেস্ক বসাননি। প্রশ্ন হলো এই ডাকসুর আসল কাজটা কি? শুধু কি পাড়ায় পাড়ায় খ্যাপ মারা? নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত সময়ে পাশে থাকা এবং সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদ করা? কোনটা হওয়া উচিত?’

ডাকসুর হেল্পডেস্ক না থাকা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডাকসুর অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল সেক্রেটারি (এজিএস) মহিউদ্দিন খান বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষার সময় হেল্পডেস্ক বসানো ডাকসুর গঠনতান্ত্রিক কোনো কাজের অংশ নয়। তবে এ বিষয়ে যে সমালোচনাগুলো এসেছে তা আমরা দেখেছি এবং অ্যাপ্রিশিয়েট করেছি। পরবর্তী পরীক্ষাগুলোতে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও আমরা হেল্পডেস্ক বসানোর বিষয়ে বিষয়টি বিবেচনা করছি।’

এফএআর/এমআইএইচএস

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow