ফরিদপুরের ভাঙ্গায় হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় ভাঙ্গা হাইওয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলায় দুই চেয়ারম্যানসহ ২১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সার্জেন্ট আজাদুর রহমান বাদী হয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে এই মামলা দায়ের করেন।
মামলায় এক নম্বর আসামি হলেন, ভাঙ্গার হামিরদী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. খোকন মিয়া। দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউপি চেয়ারম্যান ওলিউর রহমানকে।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. রোকিবুজ্জামান জানান,সহিংসতায় একটি অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশের তিনটি গাড়ি, সার্জেন্টদের ব্যবহৃত কয়েকটি মোটরসাইকেল ও অন্যান্য সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করা হয়। এতে প্রায় ৬৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।এ ঘটনা একটি মামলা হয়েছে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে হাইওয়ে পুলিশের একজন উপ-পরিদর্শক বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন এক প্রজ্ঞাপনে ফরিদপুর-৪ আসনের অধীন ভাঙ্গার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে বাদ দিয়ে নগরকান্দা ও সালথা যুক্ত করে ফরিদপুর-২ আসনের সঙ্গে সমন্বয় করে। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ভাঙ্গায় বিক্ষোভ শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ইউনিয়নের মানুষ এতে যোগ দেন।
সর্বশেষ ১৫ সেপ্টেম্বর বিক্ষোভকারীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়, উপজেলা নির্বাচন অফিস, ভাঙ্গা থানা, হাইওয়ে পুলিশের কার্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।
এন কে বি নয়ন/এসএএইচ