ভারত-পাকিস্তানের আইসিসি ইভেন্ট হচ্ছে হাইব্রিড মডেলেই!

1 month ago 26

২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান অচলাবস্থার অবশেষে সমাধান হচ্ছে। ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোর দাবি সমাধানে হাইব্রিড মডেল গ্রহণের প্রস্তাব উঠেছে। আইসিসি এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এই মডেল নিয়ে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই মডেলের আওতায় ২০২৭ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান ও ভারত আয়োজিত আইসিসি টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলার সুযোগ থাকছে বলে দাবি ইএসপিএনক্রিকইনফো।

তবে, এই প্রস্তাব সম্পর্কে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য করেনি পিসিবি। তারা জানিয়েছে, আলোচনা চলছে। জানা গেছে, পিসিবি হাইব্রিড মডেল মেনে নিতে কিছু শর্ত দিয়েছে। এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো, এই মডেল ২০২৭ সাল পর্যন্ত, এমনকি সম্ভব হলে পুরো ২০৩১ বাণিজ্যিক চক্র পর্যন্ত, প্রযোজ্য হতে হবে।

আইসিসির চলমান বাণিজ্যিক চক্র (২০২৪-২৭) অনুযায়ী, ভারত ও পাকিস্তানে তিনটি বড় ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। এগুলো হলো: ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (পাকিস্তানে), ২০২৪ সালের মহিলাদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ (ভারতে) এবং ২০২৬ সালের পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (ভারত ও শ্রীলঙ্কায়)।

পিসিবি আরও শর্ত দিয়েছে যে, ভারতের ম্যাচগুলো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে হওয়ার কারণে বাণিজ্যিক ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যদি ভারত সেমিফাইনাল বা ফাইনালে পৌঁছে, তবে সেই ম্যাচগুলোও নিরপেক্ষ ভেন্যুতে, সম্ভবত সংযুক্ত আরব আমিরাত বা শ্রীলঙ্কায়, অনুষ্ঠিত হতে পারে।

পিসিবি ক্ষতি পূরণের জন্য ভারত, পাকিস্তান এবং অন্য কোনো দলের মধ্যে ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে। ৭ ডিসেম্বর আইসিসি বোর্ড মিটিংয়ে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে।

পিসিবি ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে লাহোর, করাচি এবং রাওয়ালপিন্ডিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের পরিকল্পনা করেছিল। তবে বিসিসিআই জানিয়েছে, ভারত সরকার অনুমতি না দেওয়ায় তারা পাকিস্তানে যেতে পারবে না। এ কারণে এখনো টুর্নামেন্টের সূচি প্রকাশ করতে পারেনি আইসিসি।

এই প্রস্তাব যদি বাস্তবায়িত হয়, তবে এটি ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলমান ক্রিকেটীয় দ্বন্দ্ব নিরসনে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।

Read Entire Article