ভারত বধের স্বীকৃতি হিসেবে ৭ লাখ টাকা করে পেলেন হামজারা
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ের আর্থিক স্বীকৃতি পেলেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। প্রায় ২২ বছর পর সিনিয়র পর্যায়ে ভারতের বিপক্ষে জয় পাওয়ার পর ঘোষিত ২ কোটি টাকার প্রণোদনার চেক আজ (বুধবার) হাতে পেয়েছেন জাতীয় দলের সদস্যরা। ১৮ নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত ম্যাচে বাংলাদেশ ১–০ গোলে ভারতকে হারায়। যদিও মূল পর্বে জায়গা নিশ্চিত করা যায়নি, তবুও এই জয়কে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ২ কোটি টাকার অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন। প্রায় তিন সপ্তাহ পর সেই অর্থ বণ্টন শুরু হলো। দুপুরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবনে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে পরিষদের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) লাবণী চাকমার কাছ থেকে চেক গ্রহণ করেন জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া, দল ম্যানেজার আমের খান এবং বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের স্কোয়াডে থাকা ২৩ জন ফুটবলার প্রত্যেকে পেয়েছেন ৭ লাখ টাকা করে। একই অঙ্কের পুরস্কার পেয়েছেন হেড কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা ও দল ম্যানেজার আমের খান। কোচিং স্টাফের অন্য পাঁচ সদস্যকে দেওয়া হয়েছে ৫ লাখ টাকা করে। তবে এই বোনাস বণ্টন নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ের আর্থিক স্বীকৃতি পেলেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। প্রায় ২২ বছর পর সিনিয়র পর্যায়ে ভারতের বিপক্ষে জয় পাওয়ার পর ঘোষিত ২ কোটি টাকার প্রণোদনার চেক আজ (বুধবার) হাতে পেয়েছেন জাতীয় দলের সদস্যরা।
১৮ নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত ম্যাচে বাংলাদেশ ১–০ গোলে ভারতকে হারায়। যদিও মূল পর্বে জায়গা নিশ্চিত করা যায়নি, তবুও এই জয়কে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ২ কোটি টাকার অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন। প্রায় তিন সপ্তাহ পর সেই অর্থ বণ্টন শুরু হলো।
দুপুরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবনে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে পরিষদের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) লাবণী চাকমার কাছ থেকে চেক গ্রহণ করেন জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া, দল ম্যানেজার আমের খান এবং বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের স্কোয়াডে থাকা ২৩ জন ফুটবলার প্রত্যেকে পেয়েছেন ৭ লাখ টাকা করে। একই অঙ্কের পুরস্কার পেয়েছেন হেড কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা ও দল ম্যানেজার আমের খান। কোচিং স্টাফের অন্য পাঁচ সদস্যকে দেওয়া হয়েছে ৫ লাখ টাকা করে।
তবে এই বোনাস বণ্টন নিয়ে উঠেছে প্রশ্নও। দীর্ঘদিন ধরেই দলের সঙ্গে যুক্ত টিম অ্যাটেনডেন্ট মোহাম্মদ মহসীন কোনো অর্থ পুরস্কার পাননি। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ২০০৩ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে জয়ের ম্যাচেও দলের সঙ্গে ছিলেন তিনি। একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করা ভিডিও অ্যানালিস্ট নাসিফ ইসলামকেও তালিকাভুক্ত করা হয়নি।
শুধু তারাই নন—দলের মিডিয়া ম্যানেজার ও চিকিৎসকও এই বোনাসের বাইরে থেকেছেন। যদিও ম্যাচ–পরবর্তী বিশ্লেষণ, কৌশল নির্ধারণ এবং খেলোয়াড়দের শারীরিক প্রস্তুতিতে তারাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
জাতীয় দলের ম্যানেজার আমের খান এ বিষয়ে বলেন, “ফেডারেশন থেকে প্রায় ৪০ জনের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছিল। ভারতের ম্যাচের আগে যারা ক্যাম্পে ছিল, তারাও দলের অংশ হিসেবেই বিবেচিত। কিন্তু আজ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে আমরা ৩০ জনের জন্য চেক পেয়েছি।”
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক কাজী নজরুল ইসলাম জানান, “ভারত ম্যাচে যারা সরাসরি মাঠের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং অবদান রেখেছেন—কেবল তাদেরকেই পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করেছে মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারকরা।”
এর আগে নারী ফুটবল দলের সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ওঠার পর দেড় কোটি টাকা বোনাস এবং এশিয়ান কাপে উঠে ৫০ লাখ টাকা প্রণোদনা দেওয়া হয়, যেখানে সহায়ক কর্মকর্তারাও আর্থিক স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। তবে পুরুষ ফুটবল দলের ক্ষেত্রে ভিন্ন চিত্র উঠে আসায় পুরস্কার বণ্টনের নির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকার বিষয়টি আবারও সামনে এসেছে
What's Your Reaction?