ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য সংযোগ ও অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা জরুরি বলে মনে করেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশের টেক্সটাইল খাতের নেতৃস্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশন আয়োজিত বৈঠকে এমন মন্তব্য করেন প্রণয় ভার্মা। আসন্ন ভারত টেক্স ২০২৫ উপলক্ষে এই বৈঠকের আয়োজন করে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন। আগামী ১৪ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লিতে প্রদর্শনীটি অনুষ্ঠিত হবে।
টেক্সটাইল শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের একত্রিত করার পাশাপাশি সমগ্র টেক্সটাইল ভ্যালু চেইনকে এক ছাদের নিচে নিয়ে আসবে ভারত টেক্স ২০২৫। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এটি নতুন সাপ্লাই চেইন তৈরি এবং বিনিয়োগ ও প্রযুক্তিগত সম্পর্ক স্থাপনের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করবে।
তার বক্তব্যে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এবং ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সরবরাহ/ভ্যালু চেইন সংযোগ স্থাপনে তৈরি পোশাক শিল্প (আরএমজি) খাতের গুরুত্ব তুলে ধরেন হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা। তিনি আরএমজি ও টেক্সটাইল খাতে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতাকে তাদের আন্তঃনির্ভরশীলতা ও দ্বিপাক্ষিক সুবিধার সাক্ষ্য হিসেবে অভিহিত করেন। ভারত টেক্স ২০২৫-এ বাংলাদেশ থেকে একটি বৃহৎ প্রতিনিধিদল অংশ নেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। তার মতে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য সংযোগ ও অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা দুই দেশের মানুষ ও ব্যবসায়-বাণিজ্যকে আরও ঘনিষ্ঠ করে তুলবে।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রশাসক এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান জনাব মো. আনোয়ার হোসেন এবং বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) সভাপতি জনাব মোহাম্মদ হাতেম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অফ ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউএফটি) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান জনাব ফারুক হাসান এবং বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও বেঙ্গল গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজের ভাইস চেয়ারম্যান জনাব মো. জসিম উদ্দিন।
বাংলাদেশের শিল্প খাতের প্রতিনিধিরা ভারত টেক্স ২০২৫-এ অংশ নেওয়ার জন্য তাদের অধীর আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেছেন। তাদের আশা, ভারতের সঙ্গে বৃহত্তর অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের জন্য নতুন পথ ও প্রবৃদ্ধির সুযোগ উন্মোচন করবে।
এএমএ