ভারত সফরে মেসির পারিশ্রমিক ও বিশৃঙ্খলার কারণ জানালেন আয়োজক

ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি ভারত সফর থেকে ৮৯ কোটি রুপি পারিশ্রমিক পেয়েছেন। এ তথ্য জানিয়েছেন ইভেন্টের প্রধান আয়োজক সতদ্রু দত্ত। কর বাবদ ভারত সরকারকে দেওয়া হয়েছে ১১ কোটি রুপি। ফলে মেসির পুরো সফরে আয়োজকের মোট ব্যয় ছিল প্রায় ১০০ কোটি রুপি। গত ১৩ ডিসেম্বর কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে মেসির অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা নিয়ে তদন্ত চলছে। গ্রেফতার হওয়া আয়োজক সতদ্রু দত্ত বিশেষ তদন্ত দলকে জানান, মেসি মাঠে স্পর্শ বা জড়িয়ে ধরা পছন্দ করেন না। বিষয়টি আগেই তার নিরাপত্তা টিম জানিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু সতর্কবার্তা সত্ত্বেও ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। দত্তের দাবি, মাঠে মেসিকে ঘিরে ধরা ও আলিঙ্গনের ঘটনা তার কাছে গ্রহণযোগ্য ছিল না। এ কারণেই নির্ধারিত সময়ের আগেই তিনি মাঠ ছাড়েন। অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে মেসির খুব কাছে দেখা যায়। অভিযোগ উঠেছে, প্রভাব খাটিয়ে তিনি পরিচিতদের মাঠে প্রবেশের সুযোগ দেন। সমালোচনার মুখে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি ক্রীড়ামন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তদন্তকারীরা জানায়, শুরুতে মাঠে প্রবেশের জন্য ১৫০টি পাস দেওয়া হয়েছিল। পরে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি আসার পর তা তিনগুণ বেড়ে যা

ভারত সফরে মেসির পারিশ্রমিক ও বিশৃঙ্খলার কারণ জানালেন আয়োজক

ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি ভারত সফর থেকে ৮৯ কোটি রুপি পারিশ্রমিক পেয়েছেন। এ তথ্য জানিয়েছেন ইভেন্টের প্রধান আয়োজক সতদ্রু দত্ত। কর বাবদ ভারত সরকারকে দেওয়া হয়েছে ১১ কোটি রুপি। ফলে মেসির পুরো সফরে আয়োজকের মোট ব্যয় ছিল প্রায় ১০০ কোটি রুপি।

গত ১৩ ডিসেম্বর কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে মেসির অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা নিয়ে তদন্ত চলছে। গ্রেফতার হওয়া আয়োজক সতদ্রু দত্ত বিশেষ তদন্ত দলকে জানান, মেসি মাঠে স্পর্শ বা জড়িয়ে ধরা পছন্দ করেন না। বিষয়টি আগেই তার নিরাপত্তা টিম জানিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু সতর্কবার্তা সত্ত্বেও ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি।

দত্তের দাবি, মাঠে মেসিকে ঘিরে ধরা ও আলিঙ্গনের ঘটনা তার কাছে গ্রহণযোগ্য ছিল না। এ কারণেই নির্ধারিত সময়ের আগেই তিনি মাঠ ছাড়েন।

অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে মেসির খুব কাছে দেখা যায়। অভিযোগ উঠেছে, প্রভাব খাটিয়ে তিনি পরিচিতদের মাঠে প্রবেশের সুযোগ দেন। সমালোচনার মুখে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি ক্রীড়ামন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।

তদন্তকারীরা জানায়, শুরুতে মাঠে প্রবেশের জন্য ১৫০টি পাস দেওয়া হয়েছিল। পরে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি আসার পর তা তিনগুণ বেড়ে যায়, যা ভিড় নিয়ন্ত্রণ ভেঙে পড়ার কারণ হতে পারে।

এদিকে, সতদ্রু দত্তের ব্যাংক হিসাবে ২০ কোটি রুপির বেশি পাওয়া গেছে। তিনি দাবি করেছেন, এটি টিকিট বিক্রি ও স্পনসরদের অর্থ। পুলিশ বিষয়টি যাচাই করছে।

হাজার হাজার দর্শক উচ্চমূল্যের টিকিট কিনলেও মাঠে বিশৃঙ্খলার কারণে তারা ওই দিন মেসিকে ঠিকমতো দেখতে পাননি। পরে ক্ষুব্ধ দর্শকদের একটি অংশ স্টেডিয়ামের কিছু অংশে ভাঙচুর চালায়।

ঘটনাটি তদন্তে রাজ্য সরকার বিশেষ তদন্ত দল গঠন করেছে। নিরাপত্তা ত্রুটি, অননুমোদিত প্রবেশ এবং আয়োজকদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সূত্র: এনডিটিভি

এমএসএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow