ভারত হাসিনা-আওয়ামী লীগ ছাড়া বাংলাদেশকে বন্ধু ভাবে না: দুদু

3 weeks ago 7

ভারত শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে ছাড়া বাংলাদেশকে বন্ধু মনে করে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

তিনি বলেন, হাসিনা ও আওয়ামী লীগই ভারতের বন্ধু। অথচ শেখ হাসিনা একজন ‘স্বৈরাচার, গণহত্যাকারী’, যার বিচার বাংলাদেশে চলবে এবং হবে।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের আয়োজিত এ সমাবেশের বিষয়বস্তু ছিল ‘ভারত কি বাংলাদেশকে বিপদে ফেলতে চায়?’।

এ সময় ভারতের উদ্দেশে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, শেখ হাসিনা একজন খুনি। তিনি দেশের জনগণকে হত্যা করেছেন, গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন। তাই তাকে আশ্রয় না দিয়ে বিচারকার্য করার জন্য অনতিবিলম্বে তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দিন।

ভারত আমাদের পানিতে মারতে চায়, ভাতে মারতে চায় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কখনো কারও বশ্যতা স্বীকার করেনি। ব্রিটিশদের কাছে করেনি, পাকিস্তানিদের কাছে করেনি, স্বৈরশাসকদের কাছেও নয়। এই দেশ স্বাধীন হয়েছে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে।

বিএনপি নেতা বলেন, হাজার বছর ধরে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান মিলেমিশে এই দেশে বসবাস করছে। বাংলাদেশ এমনই একটি দেশ। অথচ ভারত আমাদের প্রয়োজনের সময় পানি দেয় না, আবার অপ্রয়োজনের সময় তিস্তা ব্যারেজ খুলে দেয়। সীমান্তে কাগুজে তালা ঝুলিয়ে রেখেছে যাতে বাংলাদেশিরা ব্যবসা-বাণিজ্য করতে না পারে। এভাবেই তারা শত্রুতা করছে।

প্রেস ক্লাবে অন্য এক অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে। বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো ডিসেম্বরেই নির্বাচন চেয়েছিল। সরকার বলেছে ফেব্রুয়ারি, আমরা সেটি মেনে নিয়েছি এবং সহযোগিতা করছি। কিন্তু ফেব্রুয়ারি যেন মার্চ না হয়, এপ্রিল না হয়-এটি সরকারকে মনে রাখতে হবে।

তিনি অভিযোগ করেন, দেশে গত এক বছরে মব সৃষ্টি, চাঁদাবাজি, দখল, সন্ত্রাস বেড়েছে। মানুষের প্রত্যাশা ছিল স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর শান্তি ফিরবে। কিন্তু এখন চাকরি টিকিয়ে রাখা কঠিন, রাস্তাঘাটে নিরাপত্তাহীনতা চরম। পুলিশও তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে না।

দুদু বলেন, আইনশৃঙ্খলার অবনতি থেকে মুক্তির একমাত্র পথ নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা। মানুষকে ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। তাহলেই দেশে শান্তি আসবে।

তিনি বলেন, ১৬ বছর ধরে আন্দোলন সংগ্রামে বিএনপির প্রায় ৫ হাজার কর্মী শহীদ হয়েছে। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনেও বহু নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন। তাদের সবারই চাওয়া, নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে দেশ সুষ্ঠুভাবে চলুক।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ডা. মো. এ বি সিদ্দিক হাওলাদার। এ সময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, ফরিদা ইয়াসমিন, তাঁতি দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কৃষক দলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এস কে সাদি, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শামীম মিয়া প্রমুখ।

কেএইচ/এনএইচআর/জেআইএম

Read Entire Article