ভারতকে গুঁড়িয়ে দেওয়া কে এই সামির মিনহাস?

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতকে কার্যত একাই গুঁড়িয়ে দিলেন পাকিস্তানের ওপেনার সামির মিনহাস। দুবাইয়ের আইসিসি ক্রিকেট একাডেমি গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ডানহাতি এই ব্যাটার খেলেন ক্যারিয়ারের সেরা এক ইনিংস- ১১৩ বলে ১৭২ রান। ১৭টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৯টি ছক্কার মার। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভর করে পাকিস্তান তোলে ৮ উইকেটে ৩৪৭ রান, যা ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে ভারতের ওপর প্রচণ্ড চাপ তৈরি করে। এশিয়া কাপের পুরো টুর্নামেন্টজুড়েই নজরকাড়া ছিলেন সামির মিনহাস। ফাইনালে এসে তিনি নিজের সামর্থ্যের চূড়ান্ত প্রদর্শনী দেখান। এটি ছিল চলতি এশিয়া কাপে তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ভারতের বোলিং লাইনআপের প্রায় সব বোলারকেই চাপে ফেলেন তিনি। বিশেষ করে নতুন বলে কিশান সিং ও দিপেশ দেবেন্দ্রন–এর ওপর ছিলেন ভীষণ আক্রমণাত্মক। সামিরের এই বিধ্বংসী ইনিংস সাজানো ছিল ১৭টি চার ও ৯টি ছক্কায়। মাত্র ৭১ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি, ২৯তম ওভারে দেবেন্দ্রনের বলে একটি বাউন্ডারি মেরে। এরপর যেভাবে ব্যাট করছিলেন, ডাবল সেঞ্চুরির দিকেই এগোচ্ছেন ১৯ বছর বয়সী এই ওপেনার। তবে শেষ পর্যন্ত দেবেন্দ্রনের এক ধীরগতির ডেলিভারিতে মিড-অনে ক্যাচ দ

ভারতকে গুঁড়িয়ে দেওয়া কে এই সামির মিনহাস?

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতকে কার্যত একাই গুঁড়িয়ে দিলেন পাকিস্তানের ওপেনার সামির মিনহাস। দুবাইয়ের আইসিসি ক্রিকেট একাডেমি গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ডানহাতি এই ব্যাটার খেলেন ক্যারিয়ারের সেরা এক ইনিংস- ১১৩ বলে ১৭২ রান। ১৭টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৯টি ছক্কার মার। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভর করে পাকিস্তান তোলে ৮ উইকেটে ৩৪৭ রান, যা ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে ভারতের ওপর প্রচণ্ড চাপ তৈরি করে।

এশিয়া কাপের পুরো টুর্নামেন্টজুড়েই নজরকাড়া ছিলেন সামির মিনহাস। ফাইনালে এসে তিনি নিজের সামর্থ্যের চূড়ান্ত প্রদর্শনী দেখান। এটি ছিল চলতি এশিয়া কাপে তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ভারতের বোলিং লাইনআপের প্রায় সব বোলারকেই চাপে ফেলেন তিনি। বিশেষ করে নতুন বলে কিশান সিং ও দিপেশ দেবেন্দ্রন–এর ওপর ছিলেন ভীষণ আক্রমণাত্মক।

সামিরের এই বিধ্বংসী ইনিংস সাজানো ছিল ১৭টি চার ও ৯টি ছক্কায়। মাত্র ৭১ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি, ২৯তম ওভারে দেবেন্দ্রনের বলে একটি বাউন্ডারি মেরে। এরপর যেভাবে ব্যাট করছিলেন, ডাবল সেঞ্চুরির দিকেই এগোচ্ছেন ১৯ বছর বয়সী এই ওপেনার। তবে শেষ পর্যন্ত দেবেন্দ্রনের এক ধীরগতির ডেলিভারিতে মিড-অনে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় তাকে। দেবেন্দ্রন এই উইকেটটি ছিল ম্যাচে তার প্রথম। পরে ৮৩ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি।

কে এই সামির মিনহাস?

সামির মিনহাস পাকিস্তানের উদীয়মান ক্রিকেটারদের মধ্যে অন্যতম প্রতিভাবান একটি নাম। তিনি পাকিস্তানের টি–টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক দলের খেলোয়াড় আরাফাত মিনহাসের ছোট ভাই। আরাফাত একজন বাঁ-হাতি স্পিন অলরাউন্ডার, অন্যদিকে সামির একজন ডানহাতি ওপেনিং ব্যাটার, যিনি প্রয়োজনে লেগ-ব্রেক গুগলি বোলিংও করতে পারেন।

সামিরের জন্ম ২ ডিসেম্বর ২০০৬, পাকিস্তানের মুলতান শহরে। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের সুবাদে খুব দ্রুতই জাতীয় দলের কাঠামোয় উঠে আসেন তিনি। খেলেছেন মুলতান অঞ্চল অনূর্ধ্ব-১৩, সাউদার্ন পাঞ্জাব অনূর্ধ্ব-১৬ এবং মুলতান অনূর্ধ্ব-১৯ দলে। সেখান থেকেই পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলে ডাক পান।

এশিয়া কাপে আলোচনায় আসেন গ্রুপ পর্বেই। মালয়েশিয়ার বিপক্ষে নিজের প্রথম যুব ওয়ানডেতেই করেন ১৪৮ বলে অপরাজিত ১৭৭ রান। যেখানে ছিল ১১টি চার ও ৮টি ছক্কা। সেমিফাইনালেও খেলেন গুরুত্বপূর্ণ অপরাজিত অর্ধশতক। আর ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ১৭২ রানের ইনিংস দিয়ে টুর্নামেন্টে নিজের আধিপত্য আরও জোরালোভাবে প্রতিষ্ঠা করেন।

ভবিষ্যতের তারকা?

ফাইনালে তার ব্যাটিং দেখে অনেকেই মনে করছেন, সামির মিনহাস খুব শিগগিরই পাকিস্তান ক্রিকেটের বড় মঞ্চে জায়গা করে নিতে পারেন। ডাবল সেঞ্চুরির খুব কাছাকাছি গিয়ে শেষ পর্যন্ত না পেলেও, ভারতের বিপক্ষে এমন ইনিংস তাকে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটের সবচেয়ে আলোচিত নামগুলোর কাতারে তুলে দিয়েছে।

সব মিলিয়ে, অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ ২০২৫–এ সামির মিনহাস শুধু ম্যাচ নয়, পুরো টুর্নামেন্টেই পাকিস্তানের সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে উঠেছেন।

আইএইচএস/

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow