‘ভারতকে দেওয়া মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের অনুমতি বাতিল করতে হবে’

1 month ago 22

গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেছেন, আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছর ভারতকে যে সুবিধা দিয়ে আসছে তা আর কোনো দেশ দেয় না।  ২০২৩ সালে আওয়ামি লীগ সরকার ভারতকে মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করার অনুমতি দেয়। বর্তমান সরকারকে বন্দর ব্যবহারের চুক্তি বাতিল করতে হবে।

ভারতের বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশের পঞ্চগড়ে নাগরিক হত্যা ও ভারতের গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে পরিকল্পিত গুজব প্রচারের প্রতিবাদে শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় রাজু ভাস্কর্যের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিলে তিনি এসব কথা বলেন।

বিক্ষোভ মিছিলে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, আজকেও পঞ্চগড়ে বাংলাদেশ সীমান্তে একজনকে হত্যা করেছে বিএসএফ। ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে পাখির মতো গুলি করে মানুষ মারছে। ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে প্রভুত্বের মতো আচরণ করে। তারা মনে করে আওয়ামি লীগ যেভাবে আচরণ করেছিল বর্তমান সরকার একই রকম আচরণ করবে। ভারতকে বুঝতে হবে এখন আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় নেই। 

তিনি আরও বলেন, আমরা দেখেছি ভারতের গণমাধ্যম পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে। সেখানকার গণমাধ্যম যা করছে তা সাংবাদিকতার কোনো নিয়মের পর্যায়ে পড়ে না। ভারতের এই গুজবের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারকে সোচ্চার হতে হবে। বাংলাদেশের গণমাধ্যম যেন ভারতের গুজবের বিরুদ্ধে সত্য তুলে ধরতে পারে সেজন্য সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা কলেজের ছাত্রনেতা ইয়াছিন আরাফাত বলেন, ভারত আমার দেশের মানুষ হত্যা করবে আমরা চুপ থাকব তা হতে পারে না। ভারতের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আমরা সব ধর্মের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। ভারত এসব গুজব ছড়িয়ে আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগাতে চায়, সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। 

বিক্ষোভ মিছিল সঞ্চালনা করেন ছাত্র নেতা মাহমুদুল হাসান, এছাড়াও বক্তব্য দেন ছাত্র নেতা ইমরান আল নাজির, জালাল আহমেদ, সাবেক ছাত্রনেতা শামীম আহমেদ প্রমুখ।

Read Entire Article