ভারত থেকে ফেরত আসা ২২ বাংলাদেশিকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানা পুলিশ স্ব স্ব ব্যক্তির অভিভাবকের কাছে তুলে দেয়। এ সময় স্বজনদের পেয়ে আপ্লুত হয়ে পড়েন তারা।
এর আগে বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের ফেরত দেওয়া হয়।
পুলিশ ও ফিরে আসা ব্যক্তিরা জানায়, বেশি বেতনে চাকরি ও কাজের প্রলোভন দেখিয়ে দালালেরা দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে তাদের অবৈধভাবে ভারতে পার করে দিয়েছিল। দিশেহারা হয়ে মাথা গোজার ঠাঁই না পেয়ে শুধুমাত্র বেঁচে থাকার তাগিদে কেউ ভারতের হাইদ্রাবাদে, পার্লারের কাজে, কেউ উত্তর ও মধ্যে প্রদেশে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
বুধবার দুপুরের দিকে দর্শনা সীমান্তের ৭৬ পিলারের পাশে বিজিবি-বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের পর ২২ বাংলাদেশি নারী-পুরুষ দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ফেরত আসে। তাদের দর্শনা থানায় রাখা হয়েছিল।
ফেরত আসারা হলেন, নোয়াখালীর সুমাইয়া খাতুন (১৯), আইরিন খাতুন (১৭), উম্মেহানি সাবু (১৮), বরিশালের মিম খাতুন (১৫), গাজীপুরের মিম খাতুন (২০), খুলনার শাহিদা আকতার (২৪), আফরিন বিবি (৩০), বরিশালের আবেদা খাতুন (২০), নরসিংদীর শিউলি বিবি (৩৩), চুয়াডাঙ্গার রওশনারা খাতুন (২৩), পিরোজপুরের মুন্নি খাতুন (২৪), চট্টগ্রামের রোমান হক (২৪), শরীয়তপুরের রাশেদ আলি (২৩), বাগেরহাটের আলাউদ্দিন (২২), খুলনার আরিফ (৩১), নড়াইলের হাবিব রহমান (৩৪), খুলনার তারেক (৩০), নড়াইলের রোমান আজিজ (৩৫), ঢাকার কৃষ্ণচন্দ্র রায় (২৬), সালাউদ্দিন (৫০), নওগাঁর সাথী পারভিন (৩৪) ও ঠাকুরগাঁওয়ের আরমান হোসেন (২৩)।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদ তিতুমীর জানান, বিভিন্ন জেলার ২২ জন বাংলাদেশি নারী-পুরুষকে অভিভাবকদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
হুসাইন মালিক/আরএইচ/এমএস