ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ, উপস্থাপক এবং নির্মাতা শাহরিয়ার নাজিম জয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় তিনি। নানা বিষয় নিয়ে করেন লেখালেখি। সম্প্রতি জানিয়েছেন, বড় পর্দায় এমন এক সিনেমা বানাতে চান তিনি যা বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তুলবে। সে নিয়ে বিতর্ক থামতে না থামতেই নতুন পোস্ট করে আলোচনায় এসেছেন তিনি।
আজ ২৩ আগস্ট সকালে জয় একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘যারা রাষ্ট্র বিনির্মাণ করবেন, মাথায় রাখবেন বাংলাদেশেও অন্তত একজন সত্যজিৎ রায়, উত্তম কুমার, অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান; কমপক্ষে একজন প্রসেনজিৎ যেন তৈরি হয়।’
তার এই পোস্টটি ভালোভাবে নিচ্ছেন না ভারতবিরোধী নেটিজেনরা। অনেকেই জয়কে কটাক্ষ করেছেন ভারতীয় তারকাদের নিয়ে লেখার জন্য। জাহিদ হাসান নামে এক নেটিজেনের মন্তব্য, ‘ইন্ডিয়ার পণ্য বাংলাদেশে তৈরি করা লাগে? না হলে তার মা থাকবে কেমনে ওখানে।’
জয়ও ছেড়ে দেয়ার পাত্র নন। তিনি জবাবে লিখেছেন, ‘তোমার চৌদ্দগুষ্ঠি ইন্ডিয়ান পণ্য ব্যবহার করে। আবার ইন্ডিয়াকে দেখতে পারো না? এটা কী কথা!’
মো. শাহীন লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ কারো পৈত্রিক সম্পত্তি নয় যে ভারতে কে কে আছে তার জন্য হুবহু তাকে অনুসরণ করতে হবে। কিংবা তার মত হতে হবে। আরো ভালো কেউ হবার চেষ্টা করুন। ভারতীয় দালালি করাটা দেখছি বাংলাদেশের সেলিব্রিটিদের একটা ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে। আরো ভালো কিছু বিষয় আছে চিন্তা করার বুঝতে পেরেছেন ভাই? নুন্যতম দেশের প্রতি যদি ভালবাসা থাকতো এবং দেশপ্রেমিক হতেন ভারতের দালালি করতেন না।’
তবে এই কমেন্টের প্রত্যুত্তরে জয় কিছু বলেননি।
এদিকে গতকাল শুক্রবার নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে জয় লিখেছেন, ‘যদি বেঁচে থাকি এমন একটা সিনেমা বানাব, যে সিনেমা বিশ্বে তোলপাড় লাগিয়ে দিবে। দেশে মুগ্ধতা ছড়িয়ে দিবে। ইনশাআল্লাহ। তখন অভিনেতা এবং উপস্থাপকের পাশাপাশি পরিচালক শাহরিয়ার নাজিম জয়ের নাম সবার আগে উচ্চারিত হবে।’
পোস্টের শেষদিকে জয় লেখেন, ‘অবহেলা কইরেন না, আন্ডার এস্টিমেটও কইরেন না। আমি পারবই, আমাকে পারতে হবেই।’
এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে তিনি আবারও ইঙ্গিত দিলেন বড় পর্দায় ফিরে আসার। তবে এবার অভিনয় নয়, নির্মাতা হিসেবে নিজেকে প্রমাণের লক্ষ্য নিয়েই ফিরতে চান তিনি।
১৯৯৭ সালে নাটক ‘গোধুলী লগ্নে’ দিয়ে ছোট পর্দায় অভিষেক ঘটে জয়ের। একই বছর তাজিন আহমেদের বিপরীতে ‘অন্যমনে’ নাটকে অভিনয় করেন তিনি। তবে ‘বিলেত বিলাস’ ও ‘কন্যা কুমারী’ নাটকে অভিনয় করেই পরিচিতি পান দর্শকমহলে। পরবর্তীতে অসংখ্য নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি নাটক রচনা ও পরিচালনাও করেন। তার নির্মিত প্রথম নাটক ছিল ‘গলির মোড়ে সিডির দোকান’।
২০০৬ সালে গাজী মাজহারুল আনোয়ার পরিচালিত ‘জীবনের গল্প’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন জয়। সেখানে তার বিপরীতে ছিলেন জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর। পরবর্তীতে আরও কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করার পর ২০১৫ সালে ‘প্রার্থনা’ সিনেমার মাধ্যমে পরিচালনায় অভিষেক ঘটে তার। এ সিনেমাটি প্রযোজনা করেছিল ইমপ্রেস টেলিফিল্ম।
এলআইএ/জিকেএস