ভারতে জীবন্ত পুঁতে ফেলা এক কন্যাশিশু উদ্ধার করা হয়েছে। তবে প্রাণের ঝুঁকি এখনো কাটেনি ২০ দিন বয়সী শিশুটির, লড়ছে মৃত্যুর সঙ্গে। সম্প্রতি এমন বর্বরোচিত ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের শাহজাহানপুর জেলায়।
বিবিসি জানিয়েছে, স্থানীয় এক রাখাল ছাগল চরাতে গিয়ে মাটির নিচ থেকে ক্ষীণ কান্নার শব্দ শুনতে পান। কাছে গিয়ে তিনি মাটির নিচে থেকে বের হয়ে থাকা ছোট্ট একটি হাত দেখতে পান। খবর দেওয়া হলে গ্রামবাসী ও পুলিশ এসে শিশুটিকে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন>>
- ভারতে এক বছরে ২০ হাজার কন্যাশিশুকে ধর্ষণ
- এবার মোদীর রাজ্যে নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা
- বুকে স্পর্শ করা ধর্ষণচেষ্টা নয়: ভারতে আদালতের রায়
সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে শিশুটিকে ভর্তি করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ডা. রাজেশ কুমার জানান, শিশুটি হাসপাতালে আনার সময় মুখ ও নাকে মাটি ঢুকে শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। শরীরে পোকামাকড় ও কোনো প্রাণীর কামড়ের দাগও ছিল।
তিনি বলেন, প্রথমে সামান্য উন্নতি দেখা গেলেও পরে অবস্থার অবনতি হয়। বর্তমানে শিশুটি মারাত্মক সংক্রমণে ভুগছে। আমরা প্রাণপণ চেষ্টা করছি তাকে বাঁচাতে, তবে পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক।
শিশুটির বাবা-মাকে এখনো শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। স্থানীয় শিশু সহায়তা হেল্পলাইনে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন>>
- ভারতে স্কুলে যাওয়ার পথে দলিত কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেফতার ২
- ভারতে ৩ বছরের শিশুকে ধর্ষণ, স্কুলভ্যান চালক গ্রেফতার
- আন্দোলনে উত্তাল ভারতে বাসের মধ্যে দলবদ্ধ ধর্ষণ
- ভারতে ৬ দিনে ২৩ জনের ধর্ষণের শিকার নারী
ভারতে কন্যাশিশু হত্যার ঘটনা নতুন নয়। ২০১৯ সালে উত্তর প্রদেশেই একটি শিশুকন্যাকে মাটির হাঁড়ির মধ্যে জীবন্ত পুঁতে রাখা হয়েছিল। অলৌকিকভাবে সে বেঁচে গিয়েছিল।
বিশ্বে সবচেয়ে খারাপ লিঙ্গ অনুপাত থাকা দেশগুলোর মধ্যে ভারত অন্যতম। দেশটিতে কন্যাশিশু জন্ম থেকে শুরু করে সারা জীবন বৈষম্যের শিকার হয়। বিশেষত দরিদ্র পরিবারে মেয়েদের বোঝা হিসেবে দেখা হয়। এজন্য বহু কন্যাশিশু গর্ভপাত বা জন্মের পর হত্যার শিকার হয়।
কেএএ/