ভারতের মধ্যপ্রদেশে একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে এ দুর্ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। উড়োজাহাজটির দুজন পাইলট নিরাপদে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
ভারতীয় বিমান বাহিনী (আইএএফ) জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যপ্রদেশের শিবপুরীর কাছে ‘মিরাজ- ২০০০’ যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কারিগরি ত্রুটির কারণে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
বিবৃতিতে আইএএফ বলেছে, নিয়মিত প্রশিক্ষণ অভিযানের সময় যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তবে যুদ্ধবিমানটিকে থাকা দুজন পাইলট নিরাপদে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন।
গোয়ালিয়রের পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) অরবিন্দ সাক্সেনা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে নারওয়ার তহসিলের সুনারি চৌকির কাছে টুইন-সিটের মিরাজ ২০০০ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। গোয়ালিয়রের মহারাজপুরা বিমানঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।’
সাক্সেনা আরও জানান, বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে পাইলটদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় বিমানবাহিনীর কাছে প্রায় ৫০টি মিরাজ ২০০০ বিমান রয়েছে, যা বর্তমানে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে একটি বলে মনে করা হয়। ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বালাকোটে জইশ সন্ত্রাসী শিবিরে ভোরবেলা বিমান হামলায় মিরাজ ২০০০ বিমান ব্যবহার করা হয়েছিল। একই বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলায় ৪০ জন সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) সদস্য নিহত হওয়ার পর পাল্টা হামলায় ভারতের এই যুদ্ধবিমান ব্যবহার করা হয়েছিল।
ভারতের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গত ডিসেম্বরে লোকসভায় পেশ করা একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০১৭-২০২২ সালের মধ্যে ৩৪টি বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
এসএএইচ