ভারতের অনুমতি মিলল দুদিন পর, ভুটানের পথে ট্রানশিপমেন্ট

অবশেষে দুদিন ধরে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরে আটকে থাকা ভুটানের ট্রানশিপমেন্টের পণ্য নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে ভারতের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। থাইল্যান্ড থেকে জাহাজে করে আনা পণ্যগুলো অনুমতির পর ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দর হয়ে ভুটানের উদ্দেশে রওনা করেছে।  সোমবার (১ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে এ অনুমতি দেয় ভারত। বুড়িমারী স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ও বেনকো লিমিটেডের মালিক ফারুক হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে আসা ভুটানের পরীক্ষামূলক ট্রানশিপমেন্ট চালানটি বুড়িমারীতে তিন দিন আটকে ছিল। বহু চেষ্টার পর আজ (সোমবার) ভারত থেকে অনুমতি মিলেছে। সব কার্যক্রম শেষ করে বিকেল ৫টায় কনটেইনারটি ভুটানের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে।’ জানা যায়, থাইল্যান্ডের ব্যাংককের আবিত ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড গত ৮ সেপ্টেম্বর ভুটানের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আবিত ট্রেডিংয়ের জন্য ছয় ধরনের পণ্য— ফলজুস, জেলি, শুকনো ফল, লিচু ফ্লেভারের ক্যান্ডি ও শ্যাম্পুসহ একটি কনটেইনার পাঠায়। ল্যাম চ্যাবাং বন্দর থেকে ছাড়ানো ওই চালান ২২ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে পৌঁছে। এর আগে ২০২৩ সালের ২২ মার্চ বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ট্রানশিপমেন্

ভারতের অনুমতি মিলল দুদিন পর, ভুটানের পথে ট্রানশিপমেন্ট

অবশেষে দুদিন ধরে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরে আটকে থাকা ভুটানের ট্রানশিপমেন্টের পণ্য নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে ভারতের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। থাইল্যান্ড থেকে জাহাজে করে আনা পণ্যগুলো অনুমতির পর ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দর হয়ে ভুটানের উদ্দেশে রওনা করেছে। 

সোমবার (১ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে এ অনুমতি দেয় ভারত।

বুড়িমারী স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ও বেনকো লিমিটেডের মালিক ফারুক হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে আসা ভুটানের পরীক্ষামূলক ট্রানশিপমেন্ট চালানটি বুড়িমারীতে তিন দিন আটকে ছিল। বহু চেষ্টার পর আজ (সোমবার) ভারত থেকে অনুমতি মিলেছে। সব কার্যক্রম শেষ করে বিকেল ৫টায় কনটেইনারটি ভুটানের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে।’

জানা যায়, থাইল্যান্ডের ব্যাংককের আবিত ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড গত ৮ সেপ্টেম্বর ভুটানের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আবিত ট্রেডিংয়ের জন্য ছয় ধরনের পণ্য— ফলজুস, জেলি, শুকনো ফল, লিচু ফ্লেভারের ক্যান্ডি ও শ্যাম্পুসহ একটি কনটেইনার পাঠায়। ল্যাম চ্যাবাং বন্দর থেকে ছাড়ানো ওই চালান ২২ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে পৌঁছে।

এর আগে ২০২৩ সালের ২২ মার্চ বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ট্রানশিপমেন্ট বিষয়ে একটি প্রটোকল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। পরে ২০২৪ সালের এপ্রিলে ভুটানে আয়োজিত দুই দেশের বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়— বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ও সড়কপথ এবং ভারতের সড়কপথ ব্যবহার করে ভুটানে পরীক্ষামূলকভাবে দুটি ট্রানশিপমেন্ট চালান পাঠানো হবে।

সে সিদ্ধান্তের আলোকে চট্টগ্রামে পৌঁছানো পণ্যের প্রথম কনটেইনারটি সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান এনএম ট্রেডিং করপোরেশন ২৮ নভেম্বর বিকেল ৪টায় বুড়িমারী স্থলবন্দরে পাঠায়। এরপর ২৮ ও ২৯ নভেম্বর বুড়িমারীর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট বেনকো লিমিটেড কয়েক দফা চেষ্টা করেও ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে কনটেইনারটি প্রবেশ করাতে ব্যর্থ হয়। পরবর্তী-সময় ১ ডিসেম্বর ভারতীয় কাস্টম কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমতি দেয়।

এ বিষয়ে বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘ভুটানের ট্রানশিপমেন্ট কনটেইনারটি ভারতের অনুমোদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় সব প্রক্রিয়া শেষ করে ভুটানের দিকে পাঠানো হয়েছে।’

বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার (এসি) দেলোয়ার হোসেন কালবেলাকে বলেন, ‘ভুটানের পণ্যের চালানের সব কাস্টমস প্রক্রিয়া আমরা সম্পন্ন করেছি। ভারতীয় কাস্টমস আজ অনুমতি দিয়েছে। এরপর আমরা চালানটি ভুটানের পথে ছেড়ে দিয়েছি।’

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow