গ্রুপ পর্বে ভারতের কাছে পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছিল পাকিস্তান। সুপার ফোরে এসে কিছুটা লড়াইয়ের ইঙ্গিত মিললেও শেষ পর্যন্ত বিধ্বস্তই হতে হলো পাকিস্তানকে। ১৭২ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিলেও ভারতীয় ব্যাটারদের সামনে পাকিস্তানি বোলিং ছিল একেবারে যাচ্ছেতাই। যার ফলে ৭ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই চলতি এশিয়া কাপে দ্বিতীয়বার পাকিস্তানকে হারালো ভারত।
১৭২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার শুভমান গিল এবং অভিষেক শর্মাই খেলা শেষ করে দেন বলতে গেলে। ১০৫ রানের অনবদ্য একটি জুটি গড়েন এ দু‘জন মিলে। শেষ পর্যন্ত হারিস রউফ (২টি), আবরার আহমেদ আর ফাহিম আশরাফরা ৪টি উইকেটের পতন ঘটালেও ভারতের জয়ের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারেনি।
বল হাতে ভারতীয়দের সামনে মোটেও লড়াই করতে পারেনি পাকিস্তান। অনেকেই ভেবেছিল, ১৭২ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর তাড়া করতে গিয়ে হয়তো বেগ পেতে হবে ভারতকে। বোলাররা যদি একটু নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে পারে, তাহলে জিততেও পারে পাকিস্তান। তা না পারলেও ম্যাচ হবে খুবই প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ।
কিন্তু পাকিস্তানি বোলাররা যে এমন নখ-দন্তহীন, তা কেউ চিন্তাও করতে পারেনি। ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস, শোয়েব আখতারদের ধারের ছিটেফোটাও নেই বর্তমান বোলিং লাইনআপে। শাহিন আফ্রিদি বেধড়ক পিটুনি খান। ব্রেক থ্রু এনে দিতে পারেন না। হারিস রউফ একটু সমীহ আদায় করলেও তা যথেষ্ট নয়।
এমন বোলিংকে পেয়েই সমানে উইকেটের চারপাশে খেলেছেন শুভমান গিল আর অভিষেক শর্মা। ২৮ বলে ৪৭ রান করে শুভমান আউট হলেও অভিষেক করেন ৭৪ রান। ৩৯ বলে খেলা এই ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬ বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কায়। সূর্যকুমার যাদব এসেই আউট হয়ে যান। ৩ বল মোকাবেলা করে হারিস রউফের বলে আবরার আহমেদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
এরপর তিলক ভার্মা আর সাঞ্জু স্যামসন মিলে অনেকটা এগিয়ে দেন ভারতীয় দলকে। সাঞ্জু ১৩ রান করে আউট হলেও তিলক ভার্মা ১৯ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন। হার্দিক পান্ডিয়া ৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান। ৫৮ রান করেন সাহিবজাদা ফারহান। ২১ রান করে আউট হন দু‘জন, সাইম আইয়ুব ও মোহাম্মদ নওয়াজ। ২০ রানে অপরাজিত থাকেন ফাহিম আশরাফ।
আইএইচএস/এমএসএম