ভারতের ট্রাভেল এজেন্সিগুলোই যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অনুপ্রবেশের কারিগর?

3 months ago 7
যুক্তরাষ্ট্রে বেআইনি অভিবাসন ইস্যুতে এবার সরাসরি ভারতের ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিল ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন স্বরাষ্ট্র দপ্তর এক ঘোষণায় জানিয়েছে, ভারতের পরিচালিত একাধিক ট্রাভেল এজেন্সি অবৈধভাবে ভারতীয় নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর সঙ্গে জড়িত। খবর রয়টার্সের। খবরে বলা হয়, এই অভিযোগের ভিত্তিতে সেইসব এজেন্সির মালিক, শীর্ষ নির্বাহী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ওয়াশিংটন ডিসি। সোমবার (২০ মে) দেওয়া ওই বিবৃতিতে মার্কিন স্বরাষ্ট্র দপ্তর জানায়, ‘আমাদের দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলো প্রতিদিন কাজ করে যাচ্ছে অবৈধ অভিবাসন ও মানব পাচার রোধে। এর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি ও সংগঠনগুলোকে চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’  যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, এসব ট্রাভেল এজেন্সিই ভারতীয় অবৈধ অভিবাসীদের জন্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে, যারা উচ্চমূল্যের বিনিময়ে ভারতীয় নাগরিকদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে আমেরিকায় বেআইনিভাবে প্রবেশ করাতে সহায়তা করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মার্কিন অভিবাসন নীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। বিশেষ করে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে তার প্রশাসন।  ইতোমধ্যে বহু ভারতীয় নাগরিককে অবৈধভাবে বসবাসের দায়ে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অনেককে দাগি অপরাধীর মতো হাত ও কোমরে দড়ি বেঁধে ফেরত পাঠানো হয়, যা নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনা হয়েছে। একপর্যায়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা করেন, যেসব অবৈধ অভিবাসী স্বেচ্ছায় আমেরিকা ছাড়বেন, তাদের প্রত্যেককে ১,০০০ ডলার (প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা) করে সহায়তা দেওয়া হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেআইনি অভিবাসন প্রক্রিয়ায় সহায়তার অভিযোগে এবার ভারতীয় ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ধরনের পদক্ষেপ ভবিষ্যতে আরও কড়া হতে পারে। তাই যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ বা অভিবাসনের ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্য ও বৈধ এজেন্সির মাধ্যমেই যোগাযোগ করা উচিত।  এদিকে ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনো এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে এমন নিষেধাজ্ঞা ভারতের পর্যটন ও অভিবাসন খাতে বড় ধাক্কা হয়ে দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এখন দেখার বিষয়, এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার পর ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও অভিযুক্ত ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর পক্ষ থেকে কী প্রতিক্রিয়া আসে।   
Read Entire Article