ভারতের মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করে যে আহ্বান জানাল বাংলাদেশ

দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে বাস্তবতা বিবর্জিত ও বিভ্রান্তিকর বলে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ সরকার। একই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন মহলকে সংখ্যালঘু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস এম মাহবুবুল আলম এক বিবৃতিতে আহ্বান জানান। তিনি বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সাংবাদিকদের এই বিবৃতির কথা জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের মন্তব্য বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে। বাংলাদেশ সরকার স্পষ্টভাবে যে কোনো ভুল, অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে, যা দেশের বাস্তব পরিস্থিতিকে বিকৃতভাবে তুলে ধরে।   পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুঃখ প্রকাশ করে জানায়, কিছু মহল পরিকল্পিতভাবে বিচ্ছিন্ন কিছু অপরাধমূলক ঘটনাকে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে পদ্ধতিগত নিপীড়ন হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে। এসব ঘটনা ব্যবহার করে ভারতের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশবিরোধী মনোভাব উ

ভারতের মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করে যে আহ্বান জানাল বাংলাদেশ

দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে বাস্তবতা বিবর্জিত ও বিভ্রান্তিকর বলে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ সরকার। একই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন মহলকে সংখ্যালঘু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস এম মাহবুবুল আলম এক বিবৃতিতে আহ্বান জানান। তিনি বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সাংবাদিকদের এই বিবৃতির কথা জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের মন্তব্য বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে। বাংলাদেশ সরকার স্পষ্টভাবে যে কোনো ভুল, অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে, যা দেশের বাস্তব পরিস্থিতিকে বিকৃতভাবে তুলে ধরে।
 
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুঃখ প্রকাশ করে জানায়, কিছু মহল পরিকল্পিতভাবে বিচ্ছিন্ন কিছু অপরাধমূলক ঘটনাকে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে পদ্ধতিগত নিপীড়ন হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে। এসব ঘটনা ব্যবহার করে ভারতের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশবিরোধী মনোভাব উসকে দেওয়া হচ্ছে, এমনকি বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশন ও অন্যান্য স্থাপনাকেও লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারতের পক্ষ থেকে যেসব ঘটনার উদাহরণ দেওয়া হয়েছে, তার একটি ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি একজন তালিকাভুক্ত অপরাধী ছিলেন। চাঁদাবাজির সময় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয় এবং তার সঙ্গে থাকা মুসলিম সহযোগীকে পরবর্তীতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই অপরাধমূলক ঘটনাকে সংখ্যালঘু নির্যাতনের দৃষ্টিকোণ থেকে উপস্থাপন করা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর ও বাস্তবতাবিরোধী।

বাংলাদেশ সরকার ভারতের বিভিন্ন মহলকে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য ও অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, এ ধরনের কর্মকাণ্ড দুই দেশের সুপ্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক ও পারস্পরিক আস্থাকে ক্ষুণ্ন করে।

বাংলাদেশে সম্প্রতি দুজন হিন্দু ব্যক্তির হত্যার বিচ্ছিন্ন ঘটনা নিয়ে ভারতে হিন্দু জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠীগুলো বিক্ষোভ করছে। ভারতে বাংলাদেশের দূতাবাসে হামলাও চালিয়েছে তারা। তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে।

তবে এই অভিযোগ বারবার নাকচ করে আসছে বাংলাদেশ সরকার। বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে সংখ্যালঘু নির্যাতন হিসেবে উল্লেখ না করতেও বলা হয়েছে দিল্লিকে। এসব ঘটনায় গ্রেপ্তারসহ বিভিন্ন ব্যবস্থাও নিচ্ছে সরকার। 

এরপর গত শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) নিয়মিত ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জয়সওয়াল বলেন, বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধসহ সংখ্যালঘুদের ওপর উগ্রবাদীদের অব্যাহত সহিংসতা ভারতের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow