ভালুকার যে এলাকায় একটু বৃষ্টিতেই ঘরে হাঁটুপানি, দুর্ভোগে বাসিন্দারা

2 hours ago 1

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কঘেঁষা এ এলাকাটিতে সামান্য বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। প্রায় ২-৩ বছর ধরে চলা এ সমস্যায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয়রা। একটু বৃষ্টিতেই ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় থাকা-খাওয়া থেকে শুরু করে বাচ্চাদের নিয়ে বসবাস করাও কষ্টকর হয়ে উঠছে বাসিন্দাদের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌর এলাকার তাহমিনা হাসপাতাল থেকে বাংলালিংক টাওয়ার পর্যন্ত বৃষ্টির পানি জমে আছে। কারও কারও বাসার নিচতলায় পানি উঠেছে। 

স্থানীয়রা জানান, জলাশয় ভরাট, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা বিমল চন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘জলাশয় ভরাট করে বাসাবাড়ি করায় সমস্যাটা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আগে এমন সমস্যা ছিল না। তবে দিনদিন সমস্যা বেড়েই চলছে। একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে বাসাবাড়িতে ঢুকে যায়। রান্নাঘরও পানিতে তলিয়ে যায়। এতে রান্না-বান্না, যাতায়াতসহ দৈনন্দিন কাজকর্ম অচল হয়ে পড়ে।

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা দূর্লভ সরকার বলেন, ‘সামান্য বৃষ্টিতেই বাড়ির ভেতর হাঁটুপানি জমে যায়। বাথরুমের ভেতরের পাইপ উপচে নোংরা পানি বাসায় ঢুকে পড়ে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। তবে সমস্যা সমাধানে পৌর কর্তৃপক্ষ বারংবার আশ্বাস দিলেও আজও কোনো সমাধান হয়নি।’

স্কুল শিক্ষার্থী অর্থ বলেন, ‘একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি উঠে, কাদা হয়ে যায়। স্কুলে যেতে চরম সমস্যা হয়।’

স্থানীয় বাসিন্দা ও ভরাডোবা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য সেলিনা আক্তার ইতি বলেন, ‘সামান্য একটু বৃষ্টি হলেই ঘরবন্দি হয়ে যেতে হয়। বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারে না। দৈনন্দিন কাজকর্মসহ চলাফেরা সবই কষ্টকর হয়ে উঠে।’

এ বিষয়ে ভালুকা পৌর প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইকবাল হোসাইন বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। পরে খোঁজ নিয়ে জানিতে পারি, পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের ওই জায়গায় জমি সংক্রান্ত কিছু জটিলতা আছে। যার জন্য ইতোপূর্বে এ সমস্যা সমাধানে কাজ করা যায়নি।

তিনি বলেন, আমরা এরই মধ্যে একটা পরিকল্পনা করেছি। এখানে রাস্তা, ড্রেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করতে হবে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বরাদ্দ এখনো আসেনি। এডিপির বরাদ্দ পেলেই জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ শুরু করা হবে।

Read Entire Article