ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ১৯ নেতাকর্মী বহিষ্কার

5 hours ago 4

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ১৯ জন নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ চারজনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া একজনকে ৫ সেমিস্টার, ৭ জনকে ৪ সেমিস্টার ও ৭ জনকে ৩ সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার তৌহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার তৌহিদুল ইসলাম সই করা পৃথক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানানো হয়। তবে বিষয়টি রোববার প্রকাশ পায়।

আজীবনের জন্য বহিষ্কার নেতাকর্মীরা হলেন- ইএসআরএম বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মানিক শীল, অর্থনীতি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী শাওন ঘোষ ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সাদিক ইকবাল। এছাড়া পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রায়হান আহমেদ শান্তকে ৫ সেমিস্টারে জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

চার সেমিস্টারে জন্য বহিষ্কার হওয়া সাতজন হলেন- রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী যোবায়ের দৌলা রিয়ন, রানা বাপ্পি, গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত আহমেদ শুভ্র, আব্দুল্লাহ সরকার উৎস, মো. আবিদ হাসান মারুফ, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী খালেকুজ্জামান নোমান এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান।

তিন সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কৃত সাতজন হলেন- অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সুজন মিয়া, নাঈম রেজা, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান, সিপিএস শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ রাজু, ইমরানুল ইসলাম, হিসাববিজ্ঞানের শিক্ষার্থী রিফাত হোসেন এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আনোয়ার হোসেন (অন্তর)।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, সামগ্রিক শৃঙ্খলার অবনতি, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনসহ বিভিন্ন শিক্ষার্থীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অনৈতিক কাজে লিপ্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় পাঠদান পরিস্থিতির বিঘ্ন ঘটানো এবং আইন শৃঙ্খলা অবনতি ঘটানোর কাজে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।

একটি বিশেষ ছাত্রসংগঠনের প্রতিহিংসামূলক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীরা গত বছরের ১৭ আগস্ট অভিযোগ দেন। সেই দাখিলকৃত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি হয়। গত ২৬ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭তম শৃঙ্খলা বোর্ডে তাদের বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়। পরে ২৭ আগস্টে অনুষ্ঠিত ২৫০তম সভার রিজেন্ট বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অভিযুক্তদের বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় ৪ জন শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। বাকী ১৫ জনকে তাদের অপরাধের ধরণ ও গুরুত্ব বিবেচনায় বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি ও বহিষ্কার আদেশ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের থেকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শাস্তি পাওয়া শিক্ষার্থীরা সবাই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫০তম রিজেন্ট বোর্ড সভায় এই শাস্তিমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আব্দুল্লাহ আল নোমান/এমএন/জিকেএস

Read Entire Article