রিকশা থেকে নামলেন। এরপর নিজের পায়ের জুতো খুলে সেই জুতা দিয়ে শুরু করলেন রিকশাওয়ালাকে বেদম পিটুনি। সামনেই রাখা ছিল কালো রঙের একটি প্রাইভেটকার। সেই প্রাইভেটকারের ব্যাকডালা থেকে একটি লাঠি বের করে সেটা দিয়েও রিকশাওয়ালাকে পেটাতে থাকেন।
এক রিকশাওয়ালাকে এভাবেই পিটিয়েছেন রাজশাহীর পবা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান রাসেল। তার মারধরের সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
গত পহেলা ফেব্রুয়ারি দুপুর ১টা ৩৩ মিনিটের সিসিটিভির ফুটেজ শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, রিকশা থেকে নামার সময় সমাজসেবার এই কর্মকর্তা রিকশাওয়ালাকে ভাড়া দিচ্ছেন। এসময় রিকশাওয়ালা নিজের পাওনা টাকা নিয়ে বাকি টাকা ফেরত দিচ্ছেন। তখন রিকশাওয়ালাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘ভাড়া বলে উঠবেন’। তখন এই সমাজসেবা কর্মকর্তা বলছেন, ‘বলে উঠবো ঠিক আছে, ভাড়া ৩০ টাকাতো কেউ চায় না’। এই বলে তিনি রিকশা থেকে নেমে যান।
তখন রিকশাওয়ালা রিকশা নিয়ে চলে যাওয়ার সময় বলেন ‘হঠকারী ভাড়া ইয়া করবেন।’ তখন সমাজসেবা কর্মকর্তা ওই রিকশাওয়ালাকে বলেন ‘একবার বলছো না, আবার বলছো কেন?’ এ কথা বলেই তিনি পায়ের জুতা খুলে পেটানো শুরু করেন। পরে পাশেই থেমে থাকা একটি কালো রঙের গাড়ি থেকে লাঠি বের করে তাকে পেটাতে থাকেন।
ভাইরাল হওয়া ভিডিও সম্পর্কে জানতে পবা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান রাসেলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে রাজশাহী জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনিরা খাতুনের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনিও ফোন রিসিভ করেননি।
তবে এ বিষয়ে রাজশাহী বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক সৈয়দ মোস্তাক হাসান বলেন, আপনি যেমন ভিডিওটি দেখেছেন, আমিও দেখলাম। হায়ার অথরিটিও বিষয়টি জানে, উনারা এখন যা করার করবে।
সাখাওয়াত হোসেন/এফএ/এএসএম