সিরাজগঞ্জের তাড়াশে দুস্থ ও অসহায় নারীদের ভিজিডির তালিকায় নাম দেওয়ার কথা বলে সাইফুল প্রামাণিক নামের এক কৃষকদলের নেতার বিরুদ্ধে ১২ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত সাইফুল প্রামাণিক উপজেলা কৃষকদলের সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক। তিনি বারুহাস ইউনিয়নের বস্তুল গ্রামের মৃত দুদু প্রামাণিকের ছেলে।
টাকা দেওয়ার পরও কার্ড না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে একই গ্রামের মর্জিনা খাতুন, সৌরভ ও আবেদা বেওয়া ওই নেতার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় পাঁচ মাস আগে সাইফুল প্রামাণিক ভিডব্লিউবির কার্ড পাইয়ে দেওয়ার নাম করে মর্জিনা খাতুন, সৌরভ ও আবেদা বেওয়াকে বাড়িতে ডাকেন। পরে তিনি কার্ড করতে প্রত্যেকের কাছে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে তিনজন চারদিন পর চার হাজার টাকা করে মোট ১২ হাজার টাকা তার হাতে দেন। কিন্তু সম্প্রতি ভিডব্লিউবির কার্ড উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে তালিকাভুক্ত হয়। এতে ওই তিন নারীর নাম নেই। পরবর্তীতে তারা কয়েক দফায় সাইফুল প্রামাণিক কাছে টাকা ফেরত চান। কিন্তু টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো হুমকি দেন।
এ নিয়ে গত ২১ আগস্ট বস্তুল বাজারে গ্রাম্য সালিশ ডাকলেও অভিযুক্ত সাইফুল প্রামাণিক উপস্থিত হননি। ফলে কোনো উপায় না পেয়ে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন তারা।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক কৃষকদল নেতা সাইফুল প্রামাণিক জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি একটি টেকনিক্যাল কলেজে অফিস সহকারী পদে চাকরি করি। এজন্য একটি পক্ষ আমাকে হেয় করার জন্য ওই তিনজনকে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করিয়েছেন।’
তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত জাহান অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টির নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দুস্থ ও অসহায় নারীরা এই কার্ড পান। তারা প্রত্যেক মাসে ৩০ কেজি করে টানা দুই বছর চাল পাবেন। ওই তিন নারীর অভিযোগের বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এম এ মালেক/এসআর/এমএস