ভিনদেশি ৯ বন্দির মরদেহ পড়ে আছে হিমঘরে
দীর্ঘদিন ধরে দেশের তিনটি হাসপাতালের হিমঘরে পড়ে রয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের ৯ বন্দির মরদেহ। এর মধ্যে ভারতের আটজন, আর একজন পাকিস্তানের।
কারা অধিদপ্তর জানিয়েছে, ছয়জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে আছে। দুজনের মরদেহ আছে শরীয়তপুরের সদর হাসপাতালের হিমঘরে। আর খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে আছে অপর মরদেহটি।
কারা অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাদের সবার বিরুদ্ধে মামলা ছিলো। কারাগারে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন তারা। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাদের। পরে তাদের হাসপাতালগুলোর হিমঘরে রাখা হয়।
কারা অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি, উন্নয়ন ও গণমাধ্যম) জান্নাত-উল-ফরহাদ বলেন, এই ৯ বিদেশি বার্ধক্যের কারণসহ অন্য রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
তবে, বারবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও ভারত ও পাকিস্তান নিজেদের নাগরিকদের মরদেহগুলো বুঝে নিচ্ছে না বলে জানিয়েছে কারা অধিদপ্তর। দিনের পর দিন মরদেহগুলো হিমঘরে সংরক্ষণে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ যাচ্ছে।
কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বলেন, ‘এসব মরদেহ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বারবার দেশ দুটির হাইকমিশনে চিঠি দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত মরদেহ নেয়নি। মরদেহ সংরক্ষণে অনেক টাকা খরচ হচ্ছে।’
কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বলেন, বিধি অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে লাশ কোনো দেশ বুঝে না নিলে তা আঞ্জুমান মফিদুলের মাধ্যমে দাফন বা সৎকার করা হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে মানবিক বিবেচনায় লাশগুলো এখনো হিমঘরে সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
কারা সূত্র জানায়, বর্তমানে সারা দেশের ৬৮টি কারাগারে ৪৬৭ জন বিদেশি বন্দি আছেন।