ভিন্ন নামে পোষ্য কোটা বহাল রাখার গুঞ্জন, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আগামী ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি শাবিপ্রবিসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় কেন্দ্র এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার পর থেকেই গুঞ্জন উঠেছে এবারও ভিন্ন নামে বহাল থাকছে পোষ্য কোটা। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলছেন, যেকোনো নামে পোষ্য কোটা বহাল রাখা হলে কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে পাঁচ ধরনের কোটায় মোট ৭৭টি আসন সংরক্ষিত ছিল। এগুলোর মধ্যে ছিল ‘এথনিক মেরিট অ্যালোকেশনে ২৮টি, ডিজেবল মেরিট অ্যালোকেশনে ১৪টি, টি-লেবার মেরিট অ্যালোকেশনে ৫টি, স্পোর্টস মেরিট অ্যালোকেশনে ১০টি ও সাস্ট কমিউনিটি মেরিট অ্যালোকেশনে ২০টি আসন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে থাকা পোষ্য কোটা নামের পরিবর্তন করে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে নাম দেওয়া হয় ‘সাস্ট কমিউনিটি মেরিট অ্যালোকেশন’। তবে প্রশাসন বলছে, এটি পোষ্য কোটা নয়, এখানে যারা ভর্তি হন তারাও মেরিটে আসেন। ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভ
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আগামী ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি শাবিপ্রবিসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় কেন্দ্র এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার পর থেকেই গুঞ্জন উঠেছে এবারও ভিন্ন নামে বহাল থাকছে পোষ্য কোটা। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
তারা বলছেন, যেকোনো নামে পোষ্য কোটা বহাল রাখা হলে কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে পাঁচ ধরনের কোটায় মোট ৭৭টি আসন সংরক্ষিত ছিল। এগুলোর মধ্যে ছিল ‘এথনিক মেরিট অ্যালোকেশনে ২৮টি, ডিজেবল মেরিট অ্যালোকেশনে ১৪টি, টি-লেবার মেরিট অ্যালোকেশনে ৫টি, স্পোর্টস মেরিট অ্যালোকেশনে ১০টি ও সাস্ট কমিউনিটি মেরিট অ্যালোকেশনে ২০টি আসন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে থাকা পোষ্য কোটা নামের পরিবর্তন করে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে নাম দেওয়া হয় ‘সাস্ট কমিউনিটি মেরিট অ্যালোকেশন’। তবে প্রশাসন বলছে, এটি পোষ্য কোটা নয়, এখানে যারা ভর্তি হন তারাও মেরিটে আসেন।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী পলাশ বখতিয়ার বলেন, পোষ্য কোটা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। গতবছর পোষ্য কোটা স্থগিত ঘোষণা করার পর ফের ভিন্ন নামে তা ফিরিয়ে আনা হয়। আগে এই কোটাতে যে কয়টি আসন বরাদ্দ ছিল বর্তমানে নতুন নামে একই সংখ্যক আসন বরাদ্দ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চব্বিশের অভ্যুত্থানের পর শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই পোষ্য কোটা মেনে নেবে না। চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই বৈষম্যের পোষ্য কোটা বাদ দিতে হবে। যদি সেটি না করা হয় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস অচল করে দেবে।
সমাজকর্ম বিভাগের জুনায়েদ আহমেদ বলেন, চব্বিশের আন্দোলনের পর যে প্রশাসন ফের পোষ্য কোটা ফিরিয়ে আনবে তারা কখনো এই আন্দোলনকে ধারণ করতে পারে না। চব্বিশের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে প্রশাসন এই কোটা বাতিল করবে বলে আমরা আশা রাখছি। অন্যথায়, শিক্ষার্থীরা ফের আন্দোলনে নামবে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরীকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি সাড়া দেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম জাগো নিউজকে বলেন, গতবার অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে যে সিদ্ধান্ত ছিল সেটায় বহাল রয়েছে। শিক্ষার্থীরা বিষয়টি বোঝেন না, এটি একটি মেরিট অ্যালোকেশান, আগের পোষ্য কোটা এখানে নেই। এখানে যেসব শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পান তারাও মেরিটে আসেন।
এসএইচ জাহিদ/এনএইচআর
What's Your Reaction?