ভিপি নুরের আসনে প্রার্থী দেয়নি বিএনপি, নতুন সমীকরণের গুঞ্জন

6 hours ago 4

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা ও দশমিনা) আসনে এখন উত্তেজনা, কৌতূহল আর জল্পনা বিরাজ করছে। বিএনপি এখনো এই আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি, আর তাতেই রাজনীতির মাঠে নতুন সমীকরণ তৈরি হলো বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন চলছে- এই আসনটি নাকি রাখা হয়েছে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের জন্য। এমন সম্ভাবনা ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গন, সর্বত্রই শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২৩৭টি আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তালিকায় পটুয়াখালীর দুটি আসন বাউফল (পটুয়াখালী-২) এবং গলাচিপা-দশমিনা (পটুয়াখালী-৩) শূন্য রাখা হয়।

এই ঘোষণার পর থেকেই পটুয়াখালী-৩ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। বিশেষ করে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও স্থানীয়ভাবে পরিচিত নেতা হাসান মামুনের নাম তালিকায় না থাকায় নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশার পাশাপাশি নানা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ শুরু হয়।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, বিএনপি হয়ত কৌশলগত কারণেই এই আসনটি খালি রেখেছে, ভিপি নুরের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে ভবিষ্যৎ জোট বা সমঝোতার অংশ হিসেবে।

ভিপি নুরের আসনে প্রার্থী দেয়নি বিএনপি, নতুন সমীকরণের গুঞ্জন

এদিকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই হাসান মামুন নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লেখেন—
‘প্রিয় গলাচিপা-দশমিনাবাসী,
আপনারা ধৈর্য্যধারণ করুন ও আশঙ্কামুক্ত থাকুন।
যেকোনো পরিস্থিতিতে পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হবে, ইনশাআল্লাহ।’

তার এই পোস্টটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। কেউ এটিকে দলের প্রতি আনুগত্যের প্রকাশ বলছেন, আবার কেউ মনে করছেন এটি হতাশা ঢাকতে দেওয়া বার্তা।

অপরদিকে স্থানীয়ভাবে এরইমধ্যে ভিপি নুরের দলীয় নেতাকর্মীদের সক্রিয়তা চোখে পড়ছে। সব মিলিয়ে পটুয়াখালী-৩ আসনটি এখন জেলার সবচেয়ে আলোচিত নির্বাচনি আসনে পরিণত হয়েছে।

এ বিষয়ে হাসান মামুন ও নুরুল হক নুরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগেও এই আসনে নুরুল হক নুর ও হাসান মামুন সমর্থকদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেসময় প্রশাসনকে ১৪৪ ধারা জারি করতে হয়েছিল।

মাহমুদ হাসান রায়হান/এফএ/জেআইএম

Read Entire Article