দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক মহড়ার সময় ভুল করে বোমা নিক্ষেপের ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান বাহিনীর দুটি কেএফ-১৬ যুদ্ধবিমান বৃহস্পতিবার (স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৪ মিনিট) লাইভ-ফায়ার মহড়ার সময় আটটি এমকে-৮২ বোমা একটি বেসামরিক এলাকায় ফেলে দেয়। ঘটনাটি ঘটে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সীমান্তবর্তী পোচন শহরে।
আরও পড়ুন>>
- শত্রুদের বার্তা দিতে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উ. কোরিয়া
- দক্ষিণ কোরিয়ায় অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন গ্রেফতার
- ট্রাম্পের আমলে বাইডেনের এশিয়ান মিত্রজোট কি টিকে থাকবে?
দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা এই ঘটনায় তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
বিমান বাহিনী জানিয়েছে, যুদ্ধবিমানের এক পাইলট ভুল করে বোমা নিক্ষেপের স্থান নির্ধারণের সময় ভুল কোঅর্ডিনেটস (ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক) প্রবেশ করান, যার ফলে বোমাগুলো একটি বেসামরিক এলাকায় পড়ে। তবে দ্বিতীয় যুদ্ধবিমানটি কেন বোমা ফেলেছিল, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
স্থানীয় বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে দুজনের ঘাড় ও কাঁধের হাড় ভেঙে গেছে। একজন ৬০ বছর বয়সী ব্যক্তি, যিনি দুর্ঘটনার সময় গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তার গলায় বোমার শার্পনেল ঢুকে গেছে।
এই ঘটনায় একটি গির্জা ও কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, একটি ভবনের জানালা ভেঙে গেছে এবং গির্জার ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঘটনার পর পোচন কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয় এবং বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন চালায়। প্রথমে আশঙ্কা করা হয়েছিল, কিছু অবিস্ফোরিত বোমা থাকতে পারে। তবে পরে কর্তৃপক্ষ জানায়, কোনো অবিস্ফোরিত বোমা পাওয়া যায়নি।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের মহড়াটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ সামরিক অনুশীলনের অংশ ছিল।
এর আগে, ২০২২ সালে আরেকটি যৌথ মহড়ার সময় দক্ষিণ কোরিয়ার সেনারা ভুল করে একটি স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যা একটি সামরিক ঘাঁটির গলফ কোর্সে গিয়ে পড়ে। যদিও ক্ষেপণাস্ত্রটি বিস্ফোরিত হয়নি, তবে আগুন ধরে গেলে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
সূত্র: বিবিসি
কেএএ/