ভুলেও সয়াবিন খাবেন না যে ৫ ধরনের ব্যক্তি 

সয়াবিনকে অনেকেই ‘সুপারফুড’ হিসেবে মানেন। প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিনও মিনারেলসমৃদ্ধ এই খাদ্য বিশেষত নিরামিষাশীদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবার জন্য এটি উপকারী নয়। তাদের দাবি, বিশেষ কিছু স্বাস্থ্য পরিস্থিতিতে সয়াবিন ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলতে পারে।  চলুন তাহলে জেনে নিই, কারা সয়াবিন খাবেন না বা খেলে সমস্যায় পড়তে পারেন— ১. থাইরয়েড রোগীরা সয়াবিন সবচেয়ে বেশি সমস্যা সৃষ্টি করে থাইরয়েডের রোগীদের জন্য। কারণ, সয়াবিনে গয়ট্রোজেন নামক যৌগ থাকে। এই যৌগগুলো থাইরয়েড গ্রন্থির স্বাভাবিক কার্যকারিতায় হস্তক্ষেপ করতে পারে এবং আয়োডিন শোষণে বাধা দেয়। ফলে যারা হাইপোথাইরয়েডিজমের জন্য ওষুধ খান, তাদের শরীরে এই গয়ট্রোজেন থাইরয়েড হরমোনের উৎপাদন আরও কমাতে পারে বা ওষুধের কার্যকারিতা নষ্ট করতে পারে। তাই থাইরয়েডের রোগীরা সয়াবিন খাওয়ার বিষয়ে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। ২. সয়াবিনে অ্যালার্জি বা সংবেদনশীলতা সয়াবিন বিশ্বের সবচেয়ে সাধারণ ৮টি খাদ্য অ্যালার্জেন বা অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদানের মধ্যে একটি। এটি খেলে সয়াবিন খেলে যদি কারও ত্বকে ফুসকুড়ি, চুলকানি, পেট ব্যথা, বম

ভুলেও সয়াবিন খাবেন না যে ৫ ধরনের ব্যক্তি 

সয়াবিনকে অনেকেই ‘সুপারফুড’ হিসেবে মানেন। প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিনও মিনারেলসমৃদ্ধ এই খাদ্য বিশেষত নিরামিষাশীদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবার জন্য এটি উপকারী নয়। তাদের দাবি, বিশেষ কিছু স্বাস্থ্য পরিস্থিতিতে সয়াবিন ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলতে পারে। 

চলুন তাহলে জেনে নিই, কারা সয়াবিন খাবেন না বা খেলে সমস্যায় পড়তে পারেন—

১. থাইরয়েড রোগীরা

সয়াবিন সবচেয়ে বেশি সমস্যা সৃষ্টি করে থাইরয়েডের রোগীদের জন্য। কারণ, সয়াবিনে গয়ট্রোজেন নামক যৌগ থাকে। এই যৌগগুলো থাইরয়েড গ্রন্থির স্বাভাবিক কার্যকারিতায় হস্তক্ষেপ করতে পারে এবং আয়োডিন শোষণে বাধা দেয়। ফলে যারা হাইপোথাইরয়েডিজমের জন্য ওষুধ খান, তাদের শরীরে এই গয়ট্রোজেন থাইরয়েড হরমোনের উৎপাদন আরও কমাতে পারে বা ওষুধের কার্যকারিতা নষ্ট করতে পারে। তাই থাইরয়েডের রোগীরা সয়াবিন খাওয়ার বিষয়ে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।

২. সয়াবিনে অ্যালার্জি বা সংবেদনশীলতা

সয়াবিন বিশ্বের সবচেয়ে সাধারণ ৮টি খাদ্য অ্যালার্জেন বা অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদানের মধ্যে একটি। এটি খেলে সয়াবিন খেলে যদি কারও ত্বকে ফুসকুড়ি, চুলকানি, পেট ব্যথা, বমিভাব বা শ্বাসকষ্টের মতো অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়, তবে সয়াবিন পুরোপুরি এড়িয়ে চলা উচিত।

৩. কিডনিতে পাথর বা অক্সালেট সংবেদনশীলতা

যাদের বারবার কিডনিতে পাথর হওয়ার ইতিহাস রয়েছে, তাদের সয়াবিন খাওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, সয়াবিনে অক্সালেট নামক যৌগের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে। শরীরের অতিরিক্ত অক্সালেট ক্যালসিয়ামের সঙ্গে মিশে কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে।

৪. হরমোন-সংবেদনশীল ক্যানসারের ঝুঁকি

সয়াবিনে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোইস্ট্রোজেন বা আইসোফ্ল্যাভোনস থাকে। এই যৌগগুলো মানবদেহের ইস্ট্রোজেন হরমোনের মতো কাজ করে। 

যদিও গবেষণায় মিশ্র ফলাফল রয়েছে, তবে কিছু ক্ষেত্রে ডাক্তাররা পরামর্শ দেন, যেসব রোগীর ইস্ট্রোজেন-সংবেদনশীল ব্রেস্ট ক্যান্সার বা অন্য কোনো হরমোন-নির্ভর ক্যান্সারের চিকিৎসা চলছে বা ঝুঁকি আছে, তাঁদের সয়াবিন জাতীয় খাদ্য গ্রহণ সীমিত করা উচিত।

৫. হজমজনিত সমস্যা

অনেকের হজমতন্ত্র সয়াবিনের প্রোটিন এবং ফাইবার সঠিকভাবে প্রক্রিয়াজাত করতে পারে না। ফলে অতিরিক্ত সয়াবিন খেলে গ্যাস, পেট ফাঁপা, ডায়রিয়া বা পেটের অন্যান্য অস্বস্তি দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে সয়া দুধ বা সয়া প্রোটিন আইসোলেট দ্রুত এই সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow