ভূমধ্যসাগর থেকে ৮ বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার
লিবিয়ার নৌবাহিনী ভূমধ্যসাগর থেকে বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীসহ ৮২ জন জীবিতকে উদ্ধার করেছে। ১২১ অভিবাসনপ্রত্যাশী বহনকারী একটি নৌকা ১৮ ডিসেম্বর ভূমধ্যসাগরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লিবিয়ার নৌবাহিনী ঘটনাস্থল থেকে ৮২ জন জীবিতকে উদ্ধার করেছে। কমপক্ষে ১৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। উদ্ধার ব্যক্তিদের মধ্যে আটজনের মরদেহসহ ৩২ বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী আছেন। বাকিরা এখনো নিখোঁজ।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, জীবিতদের বর্তমানে ত্রিপলি থেকে ৮০ কিলোমিটার পশ্চিমে জাওয়াইয়া শহরে রাখা হয়েছে। মৃতদের পাবলিক প্রসিকিউশনের তত্ত্বাবধানে জাওয়াইয়া হাসপাতালে রাখা হয়েছে। নিখোঁজদের মধ্যে আরও বাংলাদেশি নাগরিক থাকতে পারেন বলেও শঙ্কা করা হচ্ছে। নিহত বাংলাদেশিদের পরিচয় শনাক্তের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস কাজ করছে।
এদিকে নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশ হাইকমিশন খোলা নিয়ে মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, কোনো দেশে মিশন খোলার বিষয়ে বহু বিষয় যাচাই করা হয়। কোনো একটি জায়গায় কম সংখ্যক বাংলাদেশি থাকলেও সে জায়গাটি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। যেমন মিয়ানমারে ২৫০ থেকে ৩০০ বাংলাদেশি থাকেন। তবে মিয়ানমারে বাংলাদেশি মিশন খোলার গুরুত্ব অন্য রকম। নিউজিল্যান্ডে ১০ হাজার বাংলাদেশি আছেন। তাদের সেবা দেওয়া হয় অস্ট্রেলিয়া থেকে। এটি সহজসাধ্য নয়। ফলে সেখানে একটি আবাসিক মিশন থাকলে বিষয়টি সহজ হয়।
তিনি আরও জানান, নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশ মিশন খোলা ছাড়াও বাংলাদেশের কূটনৈতিক উপস্থিতি বাড়াতে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে, আর্জেন্টিনা, কম্বোডিয়ায় ও আফ্রিকার অন্তত ১০টি পূর্ণাঙ্গ বাংলাদেশ মিশন এবং চীন, ব্রাজিল, জার্মানি, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে আরও ১০টি সাবমিশন স্থাপন করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
বাংলাদেশ ও জাপানের চুক্তি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র বলেন, গত ১৮ থেকে ২০ ডিসেম্বর জাপানে বাংলাদেশ ও জাপানের ভেতর অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তির (ইপিএ) বিষয়ে তৃতীয় দফা আলোচনা হয়। আলোচনায় বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নেতৃত্ব দিয়েছে। এ বছর এরই মধ্যে আরও দুই দফা আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, সফলভাবে আলোচনা সম্পন্ন হলে এটি হবে কোনো দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রথম মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি। আলোচনার চতুর্থ দফা আগামী ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় এবং পঞ্চম দফা টোকিওতে আগামী এপ্রিলে হওয়ার কথা রয়েছে।