ভূমিকম্পে নিরাপদ থাকতে ফায়ার সার্ভিসের গুরুত্বপূর্ণ ৮ নির্দেশনা
সাম্প্রতিক সময়ে ঘনঘন ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ায় জনমনে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগ সবাইকে আটটি করণীয় মেনে চলার জন্য অনুরোধ করেছে। নির্দেশনা মেনে চললে ভূমিকম্পের সময় বিপদ এড়িয়ে নিরাপদ থাকা সম্ভব। ১. ভূকম্পন অনুভূত হলে আতঙ্কিত না হয়ে শান্ত ও স্থির থাকতে হবে। ভবনের নিচতলায় থাকলে দ্রুত বাইরে বেরিয়ে খোলা জায়গায় আশ্রয় নিতে হবে। ২. বহুতল ভবনে থাকলে ড্রপ কভার হোল্ড পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। নিচু হয়ে শক্ত টেবিল বা ডেস্কের নিচে ঢুকে খুঁটি শক্ত করে ধরতে হবে। অথবা কলামের পাশে, বিমের নিচে আশ্রয় নিতে হবে। সম্ভব হলে বালিশ, কুশন বা এ জাতীয় বস্তু দিয়ে মাথা ঢেকে রাখতে হবে। ৩. ভূমিকম্প চলাকালীন লিফট ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। ভূমিকম্প থামার সঙ্গে সঙ্গে বৈদ্যুতিক ও গ্যাস সংযোগ দ্রুত বন্ধ করতে হবে। ৪. বারান্দা, ব্যালকনি, জানালা, বুকশেলফ, আলমারি, কাঠের আসবাবপত্র বা কোনো ঝুলন্ত ভারী বস্তু থেকে দূরে থাকতে হবে। হাতের কাছে টর্চ, হেলমেট, জরুরি ওষুধ এবং বাঁশি সংরক্ষণ করতে হবে, যাতে প্রয়োজন হলে ব্যবহার করা যায়। ৫. ঘরের বাইরে থাকলে গাছ, উঁচু ভবন, বৈদ্যুতিক খুঁটি ইত্যাদি থেকে দূর
সাম্প্রতিক সময়ে ঘনঘন ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ায় জনমনে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগ সবাইকে আটটি করণীয় মেনে চলার জন্য অনুরোধ করেছে। নির্দেশনা মেনে চললে ভূমিকম্পের সময় বিপদ এড়িয়ে নিরাপদ থাকা সম্ভব।
১. ভূকম্পন অনুভূত হলে আতঙ্কিত না হয়ে শান্ত ও স্থির থাকতে হবে। ভবনের নিচতলায় থাকলে দ্রুত বাইরে বেরিয়ে খোলা জায়গায় আশ্রয় নিতে হবে।
২. বহুতল ভবনে থাকলে ড্রপ কভার হোল্ড পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। নিচু হয়ে শক্ত টেবিল বা ডেস্কের নিচে ঢুকে খুঁটি শক্ত করে ধরতে হবে। অথবা কলামের পাশে, বিমের নিচে আশ্রয় নিতে হবে। সম্ভব হলে বালিশ, কুশন বা এ জাতীয় বস্তু দিয়ে মাথা ঢেকে রাখতে হবে।
৩. ভূমিকম্প চলাকালীন লিফট ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। ভূমিকম্প থামার সঙ্গে সঙ্গে বৈদ্যুতিক ও গ্যাস সংযোগ দ্রুত বন্ধ করতে হবে।
৪. বারান্দা, ব্যালকনি, জানালা, বুকশেলফ, আলমারি, কাঠের আসবাবপত্র বা কোনো ঝুলন্ত ভারী বস্তু থেকে দূরে থাকতে হবে। হাতের কাছে টর্চ, হেলমেট, জরুরি ওষুধ এবং বাঁশি সংরক্ষণ করতে হবে, যাতে প্রয়োজন হলে ব্যবহার করা যায়।
৫. ঘরের বাইরে থাকলে গাছ, উঁচু ভবন, বৈদ্যুতিক খুঁটি ইত্যাদি থেকে দূরে খোলা স্থানে আশ্রয় নিতে হবে।
৬. গাড়িতে থাকলে ওভারব্রিজ, ফ্লাইওভার, গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে দূরে গাড়ি থামাতে হবে। ভূকম্পন না থামা পর্যন্ত গাড়ির ভেতরেই থাকতে হবে।
৭. একটি ভূমিকম্পের পর আবারও ভূকম্পন হতে পারে। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত ভবন, ব্রিজ ও বিভিন্ন অবকাঠামো থেকে দূরে থাকতে হবে।
৮. জরুরি সেবার প্রয়োজনে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স হটলাইন নম্বর ১০২ নম্বরে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
What's Your Reaction?
