ভূমিকম্পের সময় যেসব কাজ করবেন না
ভূমিকম্প কখনো আগাম জানিয়ে আসে না। তাই ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় তাৎক্ষণিক ও কার্যকর সিদ্ধান্ত নেওয়াই সবচেয়ে জরুরি। কিন্তু বাস্তবে আতঙ্কের চাপে অনেকেই ভুল পদক্ষেপ নেন, যা ক্ষতির ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। ইউএসজিএস বা ইউনাইটেট স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে ভূমিকম্পের তথ্যের জন্য একটা নির্ভরযোগ্য উৎস। প্রতিষ্ঠানটি স্পষ্টভাবে ভূমিকম্পের সময় কিছু কাজ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে। কারণ এসব ভুল পদক্ষেপ হতাহত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। জেনে নিন। ১. গ্যাস নিজে চালু করবেন না ভূমিকম্পের পর গ্যাস লিকের সম্ভাবনা থাকে। তাই গ্যাস বন্ধ থাকলে নিজে চালু করার চেষ্টা বিপজ্জনক। ইউএসজিএস পরামর্শ দেয়—নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত গ্যাস কোম্পানি বা বিশেষজ্ঞ ছাড়া কেউ গ্যাস অন করবে না। ২. আগুন জ্বালাবেন না ম্যাচ, লাইটার, চুলা, মোমবাতি — ভূমিকম্পের পরে এগুলো ব্যবহার করা ঝুঁকিপূর্ণ। সম্ভাব্য গ্যাস লিক থাকলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। আলোর জন্য টর্চলাইট রাখুন হাতের কাছে। ৩. অকারণে ফোন ব্যবহার করবেন না জরুরি নম্বরগুলো সচল রাখা জরুরি। তাই ভূমিকম্পের পর প্রয়োজন ছাড়া ফোন কল বা নেটওয়ার্ক ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে ইউএসজিএস। ৪. উদ্ধারকর্মীরা
ভূমিকম্প কখনো আগাম জানিয়ে আসে না। তাই ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় তাৎক্ষণিক ও কার্যকর সিদ্ধান্ত নেওয়াই সবচেয়ে জরুরি। কিন্তু বাস্তবে আতঙ্কের চাপে অনেকেই ভুল পদক্ষেপ নেন, যা ক্ষতির ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।
ইউএসজিএস বা ইউনাইটেট স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে ভূমিকম্পের তথ্যের জন্য একটা নির্ভরযোগ্য উৎস। প্রতিষ্ঠানটি স্পষ্টভাবে ভূমিকম্পের সময় কিছু কাজ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে। কারণ এসব ভুল পদক্ষেপ হতাহত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। জেনে নিন।
১. গ্যাস নিজে চালু করবেন না
ভূমিকম্পের পর গ্যাস লিকের সম্ভাবনা থাকে। তাই গ্যাস বন্ধ থাকলে নিজে চালু করার চেষ্টা বিপজ্জনক। ইউএসজিএস পরামর্শ দেয়—নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত গ্যাস কোম্পানি বা বিশেষজ্ঞ ছাড়া কেউ গ্যাস অন করবে না।
২. আগুন জ্বালাবেন না
ম্যাচ, লাইটার, চুলা, মোমবাতি — ভূমিকম্পের পরে এগুলো ব্যবহার করা ঝুঁকিপূর্ণ। সম্ভাব্য গ্যাস লিক থাকলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। আলোর জন্য টর্চলাইট রাখুন হাতের কাছে।
৩. অকারণে ফোন ব্যবহার করবেন না
জরুরি নম্বরগুলো সচল রাখা জরুরি। তাই ভূমিকম্পের পর প্রয়োজন ছাড়া ফোন কল বা নেটওয়ার্ক ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে ইউএসজিএস।
৪. উদ্ধারকর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছাবে — এমন আশা করবেন না
বড় ভূমিকম্প হলে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস বা ইমার্জেন্সি টিম ব্যস্ত থাকতে পারে। তাই নিজে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেওয়াই প্রথম করণীয়।
৫. ‘ট্রায়াঙ্গেল অব লাইফৎ’ পদ্ধতিতে আশ্রয় নেবেন না
অনেক বছর ধরে ‘ট্রায়াঙ্গেল অব লাইফ’ পদ্ধতি জনপ্রিয় ছিল — যেখানে বড় আসবাবের পাশে তৈরি ফাঁকা জায়গায় আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হতো। কিন্তু ইউএসজিএস, ফিমা ও রেড ক্রস জানায় — এটি অধিকাংশ দেশের ভবনে কার্যকর নয় এবং ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই আধুনিক বৈজ্ঞানিক নির্দেশনা হলো - ড্রপ, কভার অ্যান্ড হোল্ড অন, অর্থাৎ নিচে ঝুঁকে পড়া, কাছের টেবিল বা ডেস্কের নিচে ঢুকে পড়া এবং সেটি শক্ত করে ধরে থাকা।
৬. আপনি যদি ঘরের ভেতরে থাকেন
>> বাইরে দৌড় দেবেন না। ভবন কাঁপতে থাকলে দৌড়ে বের হওয়ার সময় পড়ে গিয়ে আঘাত পাওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।
>> সিঁড়ি বেয়ে নামতে যাবেন না। সিঁড়ি ভূমিকম্পের সময় সবচেয়ে অস্থির অংশ।
>> জানালা, কাঁচ, ফায়ারপ্লেস, ভারী আসবাব বা বড় ইলেকট্রনিক্সের কাছে দাঁড়াবেন না।
>> রান্নাঘরে থাকবেন না। এটি সবচেয়ে বিপজ্জনক জায়গা, কারণ জিনিসপত্র পড়ে মাথায় আঘাত লাগতে পারে।
৭. আপনি যদি ঘরের বাইরে থাকেন
>> ভবন, বৈদ্যুতিক খুঁটি, চিমনি বা যেকোনো উঁচু স্থাপনার পাশে থাকবেন না।
>> মাথার ওপর কিছু পড়ার আশঙ্কা থাকবে এমন এলাকায় দাঁড়াবেন না। খোলা জায়গায় যান।
৮. আপনি যদি গাড়ি চালানো অবস্থায় থাকেন
>> রাস্তার মাঝে থামাবেন না।
>> সেতু, ওভারপাস, বড় সাইনবোর্ড, গাছ বা বৈদ্যুতিক লাইন–এর নিচে গাড়ি থামাবেন না।
>> কম্পন না থামা পর্যন্ত গাড়ি থেকে নামবেন না।
>> আবার গাড়ি চালানো শুরু করলে রাস্তার ভাঙা অংশ, ধসে পড়া পাথর বা সেতুর সংযোগস্থলে উঁচুনিচু জায়গার দিকে সতর্ক থাকুন। তাড়াহুড়া করবেন না।
৯. আপনি যদি পার্বত্য এলাকায় থাকেন
ভূমিধস, পাথর গড়িয়ে পড়া বা আলগা মাটি–এসবের ঝুঁকি থাকে। এসব এলাকায় থাকবেন না।
১০. আপনি যদি সমুদ্রের কাছে থাকেন
কম্পন শেষ হলে সঙ্গে সঙ্গে সুনামি সতর্কতা খোঁজ করুন। এনওএএ–এর নির্দেশনা অনুসরণ করুন। ফাঁকা জায়গায় আছেন ভেবে নিশ্চিন্ত হবেন না।
তাহলে কী করবেন?
‘ঝুঁকে পড়ুন, মাথা ঢাকুন, এবং শক্তভাবে ধরে থাকুন।’
এটাই বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত নিরাপদ প্রটোকল।
সূত্র: ইউনাইটেট স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে
এএমপি/জেআইএম
What's Your Reaction?