ভূরুঙ্গামারীতে যথাযথ মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে ভূরুঙ্গামারী কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজসহ দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়।মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। উপজেলার বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা প্রশাসন, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, রাজনৈতিক সংগঠন এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। সেখানে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শাহাদৎ হোসেন। পরে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শাহাদৎ বরণকারী সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া এবং দেশ ও জাতির শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।পরে সকাল ৯টায় ভূরুঙ্গামারী পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পায়রা ও বেলুন উ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে ভূরুঙ্গামারী কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজসহ দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়।
মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। উপজেলার বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা প্রশাসন, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, রাজনৈতিক সংগঠন এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। সেখানে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শাহাদৎ হোসেন। পরে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শাহাদৎ বরণকারী সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া এবং দেশ ও জাতির শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
পরে সকাল ৯টায় ভূরুঙ্গামারী পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে দিনব্যাপী নানা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ফুল দিয়ে বরণ, যুদ্ধাহত ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। এসময় বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার বাহিনী, উপজেলা প্রশাসন মুক্ত স্কাউটদলসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন করে।
দিবসটি উপলক্ষে এতিমখানা ও হাসপাতালে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হয়। এসময় স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শাহাদৎ হোসেন। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। সেই সাথে ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সুধীজনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
What's Your Reaction?