ভৈরবে ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা

2 hours ago 5

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও দুই শিশুসন্তানকে হত্যা করে স্বামীর আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ঘটনার দিন রাতেই অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা করেন নিহতের মা শিখা রাণী বিশ্বাস। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভৈরব থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীন।

বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর অবস্থা তৈরি হলে ঘটনাস্থলে কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী, ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শবনম শারমিন, র‌্যাবসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

জানা যায়, মঙ্গলবার পৌর শহরের রাণীর বাজার শাহী মসজিদ পেছনের এলাকায় সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও দুই শিশুসন্তানকে হত্যা করে স্বামী আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
 
এ ঘটনায় নিহতরা হলেন নরসিংদীর মির্জাপুর ইউনিয়নের আনারাবাদ এলাকার মৃত গরেঙ্গ চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে জনি বিশ্বাস, তার স্ত্রী গাজীপুরের নির্মল মল্লিকের মেয়ে নিপা মল্লিক, ছেলে ধ্রুব বিশ্বাস ও মেয়ে কথা বিশ্বাস।

জানা যায়, পৌর শহরের রাণীর বাজার শাহী মসজিদের পেছনের শাহজাহান মিয়ার বিল্ডিংয়ের সাততলা ভবনের সপ্তমতলায় একটি রুমে সাবলেট নিয়ে থাকতেন জনি মিয়া ও তার পরিবার। ২৪ নভেম্বর স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে নরসিংদীর নিজ গ্রামে যান জনি বিশ্বাস। সেখান থেকে সোমবার সন্ধ্যায় এসে ঘরের দরজা বন্ধ করে। মঙ্গলবার সকাল থেকে পার্শ্ববর্তী রুমে ভাড়াটিয়া ও জনি বিশ্বাসের কর্মস্থলের কর্মচারীরা ডাকাডাকি করলে তার পরিবার দরজা না খোলায় প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। পরে দরজা ভেঙে দেখতে পায় চারজনই মৃত অবস্থায় রয়েছে। তাদের মধ্যে জনি বিশ্বাস ফাঁসিতে ঝুলে আছেন।

এ দিকে পুলিশের একাধিক সূত্র বলছে, ধারণা করা হচ্ছে জনি বিশ্বাস প্রথমে স্ত্রীকে গলা কেটেছে পরে দুই ছেলে মেয়েকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছে। পরে নিজেই ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, পুলিশ, সিআইডিসহ প্রশাসনের কয়েকটি টিম একসঙ্গে তদারকি করছে।

Read Entire Article