ভোগান্তির নাম বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড
নওগাঁ শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের সড়ক প্রশস্তকরণের পরও কোনো কাজে আসছে না। সড়কের ওপর বাস ও বিভিন্ন যানবাহন রাখায় রাস্তা সরু হয়ে নিত্য সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এতে বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের। টার্মিনালটি আধুনিকায়ন করাসহ দুর্ভোগ নিরসন ও দুর্ঘটনা এড়াতে যানবাহনগুলো সরানোর দাবি জানিয়েছেন তারা। শহরের যানজট নিরসনে আশির দশকে শহরে প্রবেশ মুখে বালুডাঙায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালটি স্থানান্তর করা হয়। এ টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন জেলা সদরসহ ১১টি উপজেলা এবং পার্শ্ববর্তী আরও পাঁচটি জেলায় বাস চলাচল করে। প্রতিদিন অন্তত ৩০০টি বাসে চালক ও সুপারভাইজারসহ কাজ করেন কয়েক হাজার শ্রমিক। জরাজীর্ণ বাস টার্মিনালে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। কাদা-পানি মাড়িয়ে যাত্রীদের বাসে উঠতে হয়। যাত্রীদের জন্য নেই বসার ব্যবস্থা, যাত্রী ছাউনি ও টয়লেট। এ টার্মিনালে প্রয়োজনের তুলনায় জায়গা স্বল্প হওয়ায় ভিড় লেগে থাকে সবসময়। এক বছর আগে বাসস্ট্যান্ড থেকে বরুনকান্দি মোড় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক চার লেনে প্রশস্তকরণ করে সড়ক বিভাগ। তবে প্রশস্তকরণের পরও পথচারীদের জন্য সড়কটি তেমন কোনো কাজে আসছে
নওগাঁ শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের সড়ক প্রশস্তকরণের পরও কোনো কাজে আসছে না। সড়কের ওপর বাস ও বিভিন্ন যানবাহন রাখায় রাস্তা সরু হয়ে নিত্য সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এতে বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের। টার্মিনালটি আধুনিকায়ন করাসহ দুর্ভোগ নিরসন ও দুর্ঘটনা এড়াতে যানবাহনগুলো সরানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
শহরের যানজট নিরসনে আশির দশকে শহরে প্রবেশ মুখে বালুডাঙায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালটি স্থানান্তর করা হয়। এ টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন জেলা সদরসহ ১১টি উপজেলা এবং পার্শ্ববর্তী আরও পাঁচটি জেলায় বাস চলাচল করে। প্রতিদিন অন্তত ৩০০টি বাসে চালক ও সুপারভাইজারসহ কাজ করেন কয়েক হাজার শ্রমিক। জরাজীর্ণ বাস টার্মিনালে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। কাদা-পানি মাড়িয়ে যাত্রীদের বাসে উঠতে হয়। যাত্রীদের জন্য নেই বসার ব্যবস্থা, যাত্রী ছাউনি ও টয়লেট। এ টার্মিনালে প্রয়োজনের তুলনায় জায়গা স্বল্প হওয়ায় ভিড় লেগে থাকে সবসময়।
এক বছর আগে বাসস্ট্যান্ড থেকে বরুনকান্দি মোড় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক চার লেনে প্রশস্তকরণ করে সড়ক বিভাগ। তবে প্রশস্তকরণের পরও পথচারীদের জন্য সড়কটি তেমন কোনো কাজে আসছে না। প্রশস্তকরণ সড়কের দুই পাশ দখল করে বাস, অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন রাখা হয়েছে। ফলে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে পথচারীদের। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটনার শঙ্কা রয়েছে।
শহরের বরুনকান্দির এলাকা বাসিন্দা কালাম হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘এক বছর আগেও সড়কটি সরু ছিল। এখন প্রশস্ত করার পরও পথচারীদের কোনো কাজে আসছে না। ভিড় লেগে থাকে সবসময়।’
চকপ্রাণ মহল্লার বাসিন্দা নাজিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও কয়েকটি জেলার বাস চলাচল করে। অথচ বাসস্ট্যান্ডের অবস্থা জরাজীর্ণ। সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা ও কাদা হয়ে যায়। বাস থেকে নামার পর দাঁড়ানোর জায়গা নেই। রোদে পুড়তে হয়, বৃষ্টিতে ভিজতে হয়। বাস টার্মিনালটি সংস্কার করে আধুনিকায়নের দাবি জানাই।’
এ বিষয়ে নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নূরে আলম সিদ্দিক বলেন, ‘সড়কের ওপর যানবাহন না রাখতে কয়েকবার মাইকিং করে সচেতন করা হয়েছে। মাইকিং করার পর কিছুদিন ফাঁকা থাকে। পরবর্তীতে আবারও একই চিত্র দেখা যায়। প্রয়োজনে আবারও অভিযান পরিচালনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
নওগাঁ জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি সৈয়দ রেজাউল মোস্তফা কালিমী বাবু বলেন, বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের জায়গা স্বল্পতা রয়েছে। বাসস্ট্যান্ডের পেছনে পৌরসভার জায়গা ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। সেখানে প্রতিদিন পৌরসভার ময়লা-আর্বজনা ফেলা হয়। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ চালক ও শ্রমিকরা। বাস রাখার জায়গার স্বল্পতার কারণে বাধ্য হয়ে সড়কের ওপর রাখতে হয়েছে।’
এসআর/এএসএম
What's Your Reaction?