পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের বাকি আর কয়েক মাস। এ অবস্থায় ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। তার অভিযোগ, ভোটার তালিকা সংশোধনের অজুহাতে নির্বাচন কমিশন সারাদেশে এনআরসির মতো প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
চলতি বছরের শেষের দিকে পশ্চিমবঙ্গের পার্শ্ববর্তী রাজ্য বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধনের কাজ শুরু হয়েছে বিহার, পশ্চিমবঙ্গসহ ছয় রাজ্যে।
এর প্রতিবাদ জানিয়ে মমতা ব্যানার্জী বলেন, বিহারসহ ছয়টি রাজ্যে ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধনের অজুহাতে নির্বাচন কমিশন সারাদেশে এনআরসির মতো প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
শুক্রবার রাজ্যজুড়ে পালিত হচ্ছে রথযাত্রা উৎসব। তার আগে পূর্ব মেদিনীপুরে দীঘায় জগন্নাথ ধামের রথযাত্রার উৎসবের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে গণমাধ্যমের কর্মীদের মুখোমুখি হয়ে মমতা অভিযোগ করেন, এনআরসির মতো ষড়যন্ত্র চলছে।
তিনি বলেন, ১৯৭৮ সালে জুলাইয়ে আগে জণ্মগ্ৰহনকারী ভোটারদের জন্মতারিখ ও জন্মস্থানের উল্লেখ করে প্রামাণ্য নথি দিতে হবে। আর তারপরে জন্ম প্রমাণকারীদের ব্যক্তিগত প্রমাণপত্র দিতে হবে, তার সঙ্গে বাবা-মায়ের নথিপত্র দিতে হবে। বাবা-মায়ের জন্ম শংসাপত্র চাইছে নির্বাচন কমিশন। এটা আদতে এনআরসির মতো ষড়যন্ত্র।
মমতা বলেন, এই পদক্ষেপের ফলে দরিদ্র, পরিযায়ী শ্রমিক এবং তরুণ ভোটাররা ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়বে।
তৃণমূল সুপ্রিমো আরও অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন একতরফা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে এবং বিরোধী দলগুলোর মতামতের তোয়াক্কা করছে না।
তিনি বলেন, তৃণমূলের বুথ এজেন্টের তালিকা চাওয়া হয়েছে। আমরা তা দেইনি। কেন দেবো? সব বিজেপির ষড়যন্ত্র। আমি সব বিরোধী দলকে এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সতর্ক করছি। নথিগুলো ভালো করে দেখুন। এটা গণতন্ত্র ধ্বংসের সিগন্যাল। ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার এক বিপজ্জনক খেলা শুরু করেছে।
মমতা বলেন,উড়িষ্যার কটকে বাংলায় কথা বলার অভিযোগে ১০০ জন পরিযায়ী শ্রমিককে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রেখেছে। বালেশ্বরে ১৭ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাংলা ভাষায় কথা বলা কি অপরাধ?
মমতা নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে প্রচারক হিসাবে কাজ করা এবং একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভিযোগ করেছেন।
ডিডি/কেএএ/