ভোটের কারণে আরও ৪২৯ কোটি টাকা চায় ইসি

আগামী বছরের ৫ অথবা ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ ধরেই সব প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তারিখ স্পষ্ট না করলেও ইসি সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য বিশ্লেষণে এমন তথ্য মিলছে। প্রস্তুতির শেষ মুহূর্তে একই দিনে গণভোট যুক্ত হওয়ায় নতুন রোডম্যাপ করতে হচ্ছে ইসিকে। গণভোট ও সংসদীয় আসনের সীমানা জটিলতা না কাটায় প্রভাব ফেলতে পারে তফসিল ঘোষণায়। তবে ঘোষিত সম্ভাব্য সময়ে নির্বাচন করতে হলে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ঘোষণা না হলেও প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। ইসিও সেটা চায়। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জন্য ২২৯ কোটি ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। নির্বাচনি বছর উপলক্ষে সংশোধিত বাজেটে আরও ৪২৯ কোটি টাকা চেয়েছে ইসি। সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) দুটি প্রকল্পের আওতায় এই বরাদ্দ চায় তারা। প্রকল্প দুটির মধ্যে একটি হলো– ‘আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং অ্যাক্সেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রথম সংশোধিত প্রকল্প’। আরেকটি হলো ‘দেশের বাইরে ভোটদান সিস্টেম উন্নয়ন এবং বাস্তবায়ন প্রকল্প’। দুটির মধ্যে দ্বিতীয়টি নতুন প্রকল্প। এমন একটি প্র

ভোটের কারণে আরও ৪২৯ কোটি টাকা চায় ইসি

আগামী বছরের ৫ অথবা ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ ধরেই সব প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তারিখ স্পষ্ট না করলেও ইসি সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য বিশ্লেষণে এমন তথ্য মিলছে। প্রস্তুতির শেষ মুহূর্তে একই দিনে গণভোট যুক্ত হওয়ায় নতুন রোডম্যাপ করতে হচ্ছে ইসিকে।

গণভোট ও সংসদীয় আসনের সীমানা জটিলতা না কাটায় প্রভাব ফেলতে পারে তফসিল ঘোষণায়। তবে ঘোষিত সম্ভাব্য সময়ে নির্বাচন করতে হলে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ঘোষণা না হলেও প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। ইসিও সেটা চায়।

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জন্য ২২৯ কোটি ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। নির্বাচনি বছর উপলক্ষে সংশোধিত বাজেটে আরও ৪২৯ কোটি টাকা চেয়েছে ইসি। সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) দুটি প্রকল্পের আওতায় এই বরাদ্দ চায় তারা।

প্রকল্প দুটির মধ্যে একটি হলো– ‘আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং অ্যাক্সেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রথম সংশোধিত প্রকল্প’। আরেকটি হলো ‘দেশের বাইরে ভোটদান সিস্টেম উন্নয়ন এবং বাস্তবায়ন প্রকল্প’। দুটির মধ্যে দ্বিতীয়টি নতুন প্রকল্প। এমন একটি প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে দিয়েছে ইসি সচিবালয়। প্রকল্প দুটির মাধ্যমে প্রবাসী ভোটারদের ভোট দান সিস্টেম উন্নয়ন এবং নাগরিকদের জন্য পরিচয়পত্র প্রদানে সেবার মান উন্নত করা হবে।

আরও পড়ুন
সংসদ ও গণভোটের মক ভোটিং শনিবার
পোস্টাল ভোটিং: মধ্যরাত থেকে একযোগে সব প্রবাসী নিবন্ধন করতে পারবেন
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন ৪০ হাজার ছাড়ালো
একই খামে নির্বাচন ও গণভোটের ব্যালট পেপার পাবেন প্রবাসীরা

সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব এম মাজহারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রস্তাবটি অর্থ মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা গত ১৮ নভেম্বর গ্রহণ করেছে।

ভোটের কারণে আরও ৪২৯ কোটি টাকা চায় ইসি

ইসির তথ্য মতে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সরকার ইসির জন্য দুটি প্রকল্প এবং থোক বরাদ্দ বাবদ মোট ২২৯ কোটি ৫ লাখ টাকা রেখেছে। এর মধ্যে ২১০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে ‘আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং অ্যাক্সেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রথম সংশোধিত প্রকল্প’-এর জন্য। ২০২০ সালে ডিসেম্বরে শুরু হওয়া প্রকল্পটি একনেক অনুমোদিত। মেয়াদ শেষ হবে চলতি ৩০ নভেম্বর।

মেয়াদ শেষ হতে যাওয়া এই প্রকল্পটির মেয়াদ বৃদ্ধির পাশাপাশি সংশোধিত বাজেটে এই প্রকল্পের ব্যয় ৪০০ কোটি টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি বছর প্রকল্পটির জন্য বরাদ্দ রাখা হয় ২১০ কোটি টাকা। ফলে ৪০০ কোটিসহ প্রকল্পটির ব্যয় বাড়িয়ে ৬১০ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।

ভোটের কারণে আরও ৪২৯ কোটি টাকা চায় ইসি

চলতি বাজেটে থাকা আরেকটি প্রকল্প হচ্ছে ‘নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় আইসিটি ব্যবহারে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি’ প্রকল্প। এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ রেখেছে ৯ কোটি ৫ লাখ টাকা। এছাড়াও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অননুমোদিত প্রকল্পের জন্য থোক বরাদ্দ হিসেবে ১০ কোটি টাকা রাখা হয়েছে। চলতি বছরের জুলাই থেকে অক্টোবর চার মাস পার হলেও দুই প্রকল্প এবং থোক বরাদ্দ থেকে এক পয়সাও খরচ করেনি নির্বাচন কমিশন।

এমতাবস্থায় সংশোধিত বাজেটে আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসি ‘দেশের বাইরে ভোটদান সিস্টেম উন্নয়ন এবং বাস্তবায়ন প্রকল্পের’ জন্য ৩৯ কোটি ৭০ লাখ ৫৮ হাজার টাকা বরাদ্দ চেয়েছে। ইসিসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ অনুমোদন করেছে ৩৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে ২২৯ কোটি ৫ লাখ টাকার বরাদ্দ থেকে সংশোধিত বাজেটে ৬৫৮ কোটি ৭৫ লাখ ৫৮ হাজার টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ব্যয় বাড়বে ৪২৯ কোটি ৭০ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। তবে এখান থেকে থোক বরাদ্দের ১০ কোটি টাকা বাদ যাচ্ছে।

আরও পড়ুন
নির্বাচনসামগ্রী পর্যাপ্ত আছে, জোনাল অফিসের মাধ্যমে পৌঁছানো হবে
শুধু এনআইডি নয়, পাসপোর্টেও প্রবাসীদের ভোটাধিকার চায় বিএনপি
যে চার ক্যাটাগরির মানুষ পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন
গণভোটের ব্যালট পেপার হবে রঙিন

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সচিব ড. কাইয়ুম আরা বেগম কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

ইসির বাড়তি আবদার প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের প্রধান (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ আব্দুর রউফ বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। নজরেও আসেনি।’

প্রকল্পে যা আছে
আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং অ্যাক্সেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রথম সংশোধিত প্রকল্পে ব্যয়ের খাতের মধ্যে মূল বেতন ধরা হয়েছে। শিক্ষা, বাড়ি ও চিকিৎসা ভাতা, মোবাইল বিল, আবাসিক টেলিফোন নগদায়ন ভাতা, টিফিন ভাতা, পোশাক ভাতা, প্রতিরক্ষা সার্ভিস ভাতা, ব্যাটম্যান ভাতা, ক্ষতিপূরণ ভাতা, উৎসব ভাতা, অধিকাল ভাতা, শ্রান্তি ও বিনোদন ভাতা, আপ্যায়ন ভাতা, সম্মানী, বাংলা নববর্ষ ভাতা, অন্যান্য ভাতা, বিশেষ সুবিধা, আপ্যায়ন ব্যয়, পরিবহন সেবা: যানবাহন ব্যবহার, সেমিনার, বিদ্যুৎ, উপযোগ সেবা চার্জ, ইন্টারনেট, ডাক–কুরিয়ার, টেলিফোন, প্রচার ও বিজ্ঞাপন, অডিও ভিডিও নির্মাণ, অফিস ভবন ভাড়া, আউটসোর্সিং, নিবন্ধন ফি, পরিবহন ব্যয়, ব্যাংক চার্জ, ব্যবস্থাপনা ব্যয়, প্রশিক্ষণ, পেট্রোল ওয়েল ও লুব্রিকেন্ট, গ্যাস ও জ্বালানি, ভ্রমণ ব্যয়, কম্পিউটার সামগ্রী, মুদ্রণ ও বাঁধাই, স্ট্যাম্প ও সিল, অন্যান্য মনোহারি, কনসালটেন্সি, মোটরযান মেরামত ও সংরক্ষণ, আসবাবপত্র, কম্পিউটার, অফিস সরঞ্জামাদি, অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি, অন্যান্য ভবন ও স্থাপনা, বৈদ্যুতিক স্থাপনা মেরামত ও সংরক্ষণ এবং মোটরযান রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ টাকা ব্যয় হবে।

ভোটের কারণে আরও ৪২৯ কোটি টাকা চায় ইসি

পোস্টাল ভোট

দেশের বাইরে ভোটদান সিস্টেম উন্নয়ন এবং বাস্তবায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট গ্রহণ সেবা দেওয়া হবে। এরই মধ্যে পোস্টাল ভোটিং কাজ এবং এআই প্রতিরোধে নানা প্রযুক্তিগত কাজ শুরু করেছে কমিশন। এই জন্যই বাড়তি ব্যয় লাগছে।

আরও পড়ুন
জাতিকে ওয়াদা দিয়েছি একটা সুষ্ঠু-সুন্দর ভোট উপহার দেবো: সিইসি
একই দিনে গণভোট ও নির্বাচন আয়োজনে চিঠি দিয়েছে সরকার: সিইসি
দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন করা যায় না: তাহমিদা আহমদ
ব্যালট-ইভিএম বাদ দিয়ে মোবাইল অ্যাপে ভোটগ্রহণের আহ্বান

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন দেশ থেকে ভোট দেওয়ার জন্য ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপে প্রবাসীদের নিবন্ধন করা হচ্ছে। নির্ধারিত সময় শেষে সংশ্লিষ্ট প্রবাসীদের ঠিকানায় ডাকযোগে ব্যালট পেপার পাঠাবে ইসি।

এদিকে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের ভোটার নিবন্ধনের ক্ষেত্রে অঞ্চলভিত্তিক সীমাবদ্ধতা এবং পাঁচ দিনের সময়সীমা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। এই ঘোষণার ফলে এখন থেকে প্রবাসীরা বিশ্বের যে কোনো স্থান থেকে, যে কোনো সময় নিবন্ধন করতে পারবেন। আগামী ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে নিবন্ধন। এ সময়ের মধ্যে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন প্রবাসীরা।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে টিকটকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।

ভোটের কারণে আরও ৪২৯ কোটি টাকা চায় ইসি

তবে পোস্টাল ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার জন্য প্রবাসীদের নিবন্ধন কার্যক্রমে বড় ধরনের জটিলতা দেখা দিয়েছে। ‘Postal Vote BD’ অ্যাপের মাধ্যমে ভোটারদের পক্ষ থেকে সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা না দেওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যের সাত দেশে সাময়িকভাবে এ নিবন্ধন কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দেশগুলো হচ্ছে- বাহরাইন, কুয়েত, মালয়েশিয়া, ওমান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।

প্রয়োজন বাড়তি ব্যয়
গত ৩১ অক্টোবর বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। বৈঠকে অর্থ সচিবও উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচনি বছরে নানা খাতে বাড়তি ব্যয়ের বিষয়টি উল্লেখ করে ইসি।

ভোটের কারণে আরও ৪২৯ কোটি টাকা চায় ইসি

বৈঠকে ইসি জানায়, একই দিনে গণভোট ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করা হলে ভোটকেন্দ্র এবং ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা বাড়বে। বিষয়টি মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিতে হবে। আর পৃথক দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের আয়োজন করলে দুই নির্বাচনের যে ব্যয় সে অর্থ সংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে উদ্দেশ করে বলেন, সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের ব্যয়ের টাকার সংস্থান করতে হবে, যাতে যথাসময়ে অর্থ ছাড় করা যায়।

বাজেট বরাদ্দ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, অর্থ বিভাগের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। তবে সব মন্ত্রণালয় ও সংস্থাকে ব্যয় সাশ্রয়ী হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় খরচ ছাড়া অপ্রয়োজনীয় ব্যয় না করারও পরামর্শ দেওয়া হয়।

এমওএস/এমএমএআর/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow