ভোলায় বাস মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ২টি বাস ও বেশ কয়েকটি অটোরিকশায় আগুন দেওয়া হয়েছে। দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের অনেককে ভোলা সদর ও বরিশাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী ভোলার বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাস স্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে বাস শ্রমিকদের সঙ্গে সিএনজি চালকদের প্রথমে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে বিষয়টি সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এসময় দুটি বাস ও কয়েকটি সিএনজিতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর আবারও উভয়পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এবং সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে ভোলা সদর ও গুরুতরদের বরিশাল হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রশাসন এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভোলা বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির সেলিম অভিযোগ করে জানান, বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাস স্ট্যান্ডটি তারা প্রতি বছরই ইজারা নেন। কিন্তু দীর্ঘ বছর ধরে সিএনজি অটোরিকশার মালিক ও চালকরা অবৈধভাবে বাস স্ট্যান্ডের একটি অংশ দখল করে রেখেছে। এ নিয়ে তারা পৌরসভাকে জানালে পৌরসভা থেকে মঙ্গলবার উচ্ছেদ করতে আসে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাতের দিকে সিএনজির মালিক ও চালকরা তাদের বাস মালিক ও শ্রমিকদের ওপর চড়াও হয়ে হামলা চালায়। এতে তাদের অনেকে আহত হন। এছাড়াও দুইটি বাস পুড়িয়ে দেয় এবং ১০টি বাস ভাঙচুর করে। এ ঘটনার বিচার দাবি করেন বাস মালিক সমিতির নেতারা।
অন্যদিকে বাস মালিক সমিতির অভিযোগ অস্বীকার করে সিএনজি অটোরিকশা মালিক সমিতির নেতারা জানান, বাস মালিক ও শ্রমিকরা তাদের ওপর আগে হামলা চালান। তাদের বেশ কয়েকটি অটোরিকশা পুড়িয়ে ফেলেন। এছাড়াও তাদের সমিতির নেতা, চালক ও মালিকদের পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। এ ঘটনায় তারাও বাস মালিক ও শ্রমিকদের বিচার দাবি করেন।
ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রিপন কুমার সরকার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
জুয়েল সাহা বিকাশ/এফএ/এএসএম