মঞ্চের বিশেষ চেয়ার সরিয়ে সাধারণ চেয়ারে বসেন তারেক রহমান

দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরেছেন তারেক রহমান। লাল-সবুজ রঙে সাজানো একটি বাসে করে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গণসংবর্ধনাস্থলে পৌঁছান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে তিনি মঞ্চে ওঠেন। তার সঙ্গে বিএনপির নেতারা রয়েছেন। গণসংবর্ধনাস্থলের মঞ্চে উঠে নিজের জন্য বরাদ্দ বিশেষ চেয়ার সরিয়ে রেখে সাধারণ একটি চেয়ার টেনে সেটাতে বসেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। পরে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হাত নাড়েন তিনি। বক্তৃতার শুরুতে তারেক রহমান বলেন, ‘রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমতে আজ আমি আমার প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরে আসতে পেরেছি আপনাদের মাঝে। ১৯৭১-এ আমাদের এই মাতৃভূমি লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল। ঠিক একইভাবে ১৯৭৫ সালে সিপাহি বিপ্লবের মাধ্যমে আধিপত্যবাদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা হয়েছিল। একইভাবে পরে ’৯০-এ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে এ দেশের মানুষ গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে এনেছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতাসহ এ দেশের সর্বস্তরের মানুষ স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করেছিল।’ এক পর্যায়ে মঞ্চে দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে নিজের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেছেন বিএনপির ভার

মঞ্চের বিশেষ চেয়ার সরিয়ে সাধারণ চেয়ারে বসেন তারেক রহমান
দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরেছেন তারেক রহমান। লাল-সবুজ রঙে সাজানো একটি বাসে করে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গণসংবর্ধনাস্থলে পৌঁছান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে তিনি মঞ্চে ওঠেন। তার সঙ্গে বিএনপির নেতারা রয়েছেন। গণসংবর্ধনাস্থলের মঞ্চে উঠে নিজের জন্য বরাদ্দ বিশেষ চেয়ার সরিয়ে রেখে সাধারণ একটি চেয়ার টেনে সেটাতে বসেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। পরে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হাত নাড়েন তিনি। বক্তৃতার শুরুতে তারেক রহমান বলেন, ‘রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমতে আজ আমি আমার প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরে আসতে পেরেছি আপনাদের মাঝে। ১৯৭১-এ আমাদের এই মাতৃভূমি লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল। ঠিক একইভাবে ১৯৭৫ সালে সিপাহি বিপ্লবের মাধ্যমে আধিপত্যবাদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা হয়েছিল। একইভাবে পরে ’৯০-এ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে এ দেশের মানুষ গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে এনেছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতাসহ এ দেশের সর্বস্তরের মানুষ স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করেছিল।’ এক পর্যায়ে মঞ্চে দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে নিজের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি কিংবদন্তি মার্টিন লুথার কিংয়ের অনুকরণে বলছেন, ‘আই হ্যাভ আ প্ল্যান ফর দ্য পিপল অব মাই কান্ট্রি, ফর মাই কান্ট্রি।’  তারেক রহমান তার ভাষণে বলেন, ‘এই পরিকল্পনা দেশের মানুষের স্বার্থে, দেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য, দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য। সে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে দেশের গণতন্ত্রকামী সব মানুষের সহযোগিতা আমার লাগবে। আপনারা যদি আমাদের সহযোগিতা করেন, পাশে থাকেন, সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হব।’ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘আজ আমরা যদি সবাই ঐক্যবদ্ধ হই, প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই, লক্ষ-কোটি মানুষের পরিকল্পনা পূরণ করতে পারি।’ তিনি বলেন, ‘আজ আমাদের সময় এসেছে সকলে মিলে দেশ গড়ার। আমরা চাই, সকলে মিলে এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলব আমরা, যে বাংলাদেশের স্বপ্ন একজন মা দেখেন। অর্থাৎ একটি নিরাপদ বাংলাদেশ আমরা গড়তে চাই; যে বাংলাদেশে নিরাপদে ঘর থেকে বের হয়ে নিরাপদে আবার ফিরে আসবে।’ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আজ বাংলাদেশের মানুষ কথা বলার অধিকার ফিরে পেতে চায়। তারা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে চায়। বাংলাদেশের মানুষ চায়, তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী ন্যায্য অধিকার। এর আগে রাজধানীর পূর্বাচলে গণসংবর্ধনাস্থলে পৌঁছায় তারেক রহমানকে বহনকারী গাড়িবহর। লাল-সবুজ রঙে সাজানো একটি বাসে করে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গণসংবর্ধনাস্থলে পৌঁছান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে তারেক রহমান মঞ্চে ওঠেন। বেলা ৩টা ৫৭ মিনিটে তিনি বক্তব্য শুরু করেন। শুরুতেই বলেন, ‘প্রিয় বাংলাদেশ।’ তার সঙ্গে বিএনপির নেতারা রয়েছেন। মঞ্চে উঠে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হাত নাড়েন তারেক রহমান। মঞ্চে তারেক রহমানকে স্বাগত জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow