দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের পর মধ্যরাতেও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজ ক্যাম্পাসে । যে কোনো সময় আবারও সংঘর্ষ হতে পারে এমন আশংকায় রাত জেগে সময় কাটাচ্ছে অনেক সাধারণ শিক্ষার্থী। এদিকে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা সামাল দিতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।
রোববার (১২ জুলাই) রাত দেড়টার দিকে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সকাল ৮টার মধ্যে ছেলেদের হল খালি করার নির্দেশ দিয়েছে কলেজ প্রশাসন। এ নিয়ে যে কোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না এটি সুনিশ্চিতভাবে বলা মুশকিল। তাই পুলিশ সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। রাত জেগে ক্যাম্পাস পাহারা দিচ্ছে।
এদিকে কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কলেজে ছেলেদের তিনটি ও মেয়েদের পাঁচটি হল রয়েছে। সব ছেলেরা আন্দোলনে জড়ায়নি। অথচ যারা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের জন্য সবাইকে হল ছাড়তে হবে। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসসহ হলগুলোতে এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অনেক সাধারণ শিক্ষার্থী ভয় আর আতঙ্ক নিয়ে রাত জেগে সময় কাটাচ্ছে।
এর আগে রোববার বিকেল ৫টার দিকে হলের সিট বরাদ্দের নবায়ন ইস্যুতে গণ্ডগোলের সূত্রপাত হয়। পরে ময়মনসিংহের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্নয়ক আশিকুর রহমানসহ অন্যরা এলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
রাত ৮টার দিকে তিনদিনের জন্য কলেজ বন্ধের ঘোষণা করে কলেজ প্রশাসন। একই সঙ্গে কলেজে ছেলেদের হোস্টেল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৮টার মধ্যে ছেলেদের হল ত্যাগের জন্য বলা হয়। তবে পূর্বনির্ধারিত পরীক্ষা কার্যক্রম চলবে।
ময়মনসিংহের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আশিকুর রহমান বলেন, আমরা কাউকে মারধর করে রক্তাক্ত করিনি। হলে থাকা ছাত্রলীগের দোসরা আমাদের ১০ জনকে মারধর করে আহত করেছে। এদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
এ বিষয়ে আনন্দ মোহন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আমান উল্লাহ বলেন, কলেজে শৃঙ্খলা ফেরাতে ও পরিবেশ শান্তিপূর্ণ করতে কলেজ এবং হল বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখন শান্ত।
কামরুজ্জামান মিন্টু/জেডএইচ/