মনোনয়ন দ্বন্দ্বে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র মেহেরপুর

11 hours ago 5

মেহেরপুর-২ আসনের মনোনয়ন দ্বন্দ্বের জেরে বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে গাংনী উপজেলা শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন এবং মনোনয়ন বঞ্চিত জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে এই সংঘর্ষ শুরু হয়।

এ ঘটনায় অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে এসময় নীরব দর্শকের ভূমিকায় থাকার অভিযোগ উঠেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধ।

মনোনয়ন দ্বন্দ্বে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র মেহেরপুর

জানা গেছে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মেহেরপুর-২ আসনের বিএনপি প্রার্থী আমজাদ হোসেন নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে শহরের বাসস্ট্যান্ড দিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় মনোনয়ন বঞ্চিত জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন পক্ষের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা করে। পরে আমজাদ হোসেনে তার কার্যালয়ে অবস্থান নিলে জাভেদের নেতাকর্মীরা অফিসেও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। নেতাকর্মীরা অফিসের সামনে থাকা বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে ভাঙচুর করে।

এদিকে হামলার খবর পেয়ে হাসপাতাল বাজার থেকে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলুর নেতৃত্বে আমজাদ হোসেন পক্ষের নেতাকর্মীরা একটি মিছিল বের করে বাসস্ট্যান্ডে আসেন। এসময় আমজাদ হোসেন পক্ষের উত্তেজিত নেতাকর্মীরা জাভেদ মাসুদ মিল্টনের অফিসের হামলা চালায়। অফিসের ভেতরে থাকা আসবাবপত্র এবং চেয়ার বের করে আগুন ধরিয়ে দেয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আমজাদ হোসনের নেতৃত্বে শহরে বিক্ষোভ মিছিল চলছে।

মনোনয়ন দ্বন্দ্বে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র মেহেরপুর

তবে ঘটনার শুরুতে পুলিশের একটি পিকআপ এবং পরে সেনাবাহিনীর কয়েকটি টহল গাড়ি আসলে নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে আবারও হামলা-পাল্টা হামলা শুরু হলে পুলিশের কোনো কার্যক্রম দেখা যায়নি।

তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বানি ইসরাইল।

প্রসঙ্গত, গতকাল সন্ধ্যায় বিএনপির মহাসচিব মেহেরপুরের দুটি আসনে এমপি প্রার্থী ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই মেহেরপুর-২ আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের জন্য বিক্ষোভ মিছিল করেছিল জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন সমর্থকরা।

আসিফ ইকবাল/কেএইচকে/জেআইএম

Read Entire Article