ছয় বছর আগে ক্রস ফায়ারে রাকিব হাওলাদার নামে এক তরুণের মৃত্যুর ঘটনায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত মামলাটির অভিযোগ তদন্ত করে পুলিশের অপরাধ বিভাগকে (সিআইডি) প্রতিবেদনে দাখিলের নির্দেশ দেন। এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগীর মা রীতা আক্তার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ওইদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে আদেশের জন্য আজ মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- ওয়ারী থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক জ্যোতি, সাবেক ওসি রফিকুল ইসলাম, সাবেক ওসি (তদন্ত) মো. সেলিম, উপ-পরিদর্শক রেজাউল, পুলিশের সোর্স মোশাররফ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, তার ছেলে ও কাউন্সিলর আহমেদ ইমতিয়াজ গৌরব, সাবেক পরিদর্শক মাহবুব, উপ-পরিদর্শক জাকির হোসেন, গৌরবের এপিএস মিন্টু, ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আশিকুর রহমান চৌধুরী লাবলু, আওয়ামী লীগ নেতা খন্দকার মাইনুল ইসলাম জুয়েল, আব্দুর রহমান, গৌরবের চাচা রাসেল, দিপু চাকলাদার, ফারুল হাওলাদার, নাসিমা বেগম, যুবলীগ নেতা মো. মহিউদ্দিন, পান্থ মিডিয়ার মালিক কালাম ও স্টার মিডিয়ার মালিক মুসা।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর কাপ্তান বাজারে পান আনতে গেলে ভুক্তভোগী রাকিব হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে ওয়ারী থানা পুলিশ। পরে মামলার বাদী এ খবর পেয়ে থানায় যান। সেখানে গিয়ে ছেলেকে ধরে আনার কারণ জানতে চাইলে এসআই জ্যোতি জানান, ছেলে হাজতে আছে। এখন কিছু জানাতে পারব না। পরে তাকে থানা থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে রাত আড়াইটায় বোরকা পরে তিনি থানায় প্রবেশ করেন। সেখানে গিয়ে দেখেন তার ছেলের পড়ে আছে। পরদিন সকালে ছেলেকে খাবার দিতে গেলে তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ৬ এপ্রিল থানায় তিনি ছেলেকে খুঁজতে গিয়ে না পেয়ে ফিরে আসেন। ওইদিন ভুক্তভোগীর নানা মনির হোসেনকে কল করে জানানো হয় তার নাতি ক্রস ফায়ারে মারা গেছে।
জেএ/এমআরএম/এমএস