আরজিকর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এক নারী চিকিৎসকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর পদত্যাগের দাবিতে অনড় রাজ্যের প্রধান বিরোধীদল বিজেপি।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) গোটা রাজ্যজুড়ে থানা ঘেরাও কর্মসূচি ছিল বিজেপির। নন্দীগ্রাম, আসানসোল দক্ষিণ, সোদপুরের ঘোলাসহ একাধিক থানায় বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি বেধে যায়।
নদিয়ায় ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। অবরোধ চলার কারণে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে জাতীয় সড়ক। শান্তিপুর-ফুলিয়া এলাকায় ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে ও মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা পুড়িয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে বিজেপির কর্মীরা।
ভুক্তভোগী চিকিৎসকের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের যে ঘোলা থানার অন্তর্গত, সেখানে বিক্ষোভ দেখায় রাজ্যটির বিরোধী দলনেতা ও বিজেপির বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তার সঙ্গেই ছিলেন দলের সাবেক সংসদ সদস্য অর্জুন সিং, উত্তর শহরতলী জেলা সভাপতি অরিজিত বক্সীসহ দলীয় কর্মী সমর্থকরা।
বিজেপির বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ছিল আঁটোসাঁটো। তিনটি ব্যারিকেড করা হয় বিজেপি দলীয় কর্মী-সমর্থকদের আটকানোর জন্য। কিন্তু প্রথম ব্যারিকেড ভেঙ্গে ভেতরে ঢোকেন শুভেন্দুসহ বাকিরা। এরপর থানার কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে মুহুর্মুহু স্লোগান দিতে থাকেন তারা। দাবি ওঠে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের। সেখান থেকে শুভেন্দু স্লোগান তোলেন দফা এক, দাবি এক-মমতার পদত্যাগ, দড়ি ধরে মারো টান রানি হবে খান খান।
শুভেন্দুর অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী নিজে এই ঘটনায় জড়িত। তার নির্দেশেই চোখের সামনে থেকে লাশ ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। পানিহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ ও কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার অভিষেক গুপ্তা-উভয়ই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এসেছিলেন। তাদের দুজনকেই পুলিশ হেফাজতে নিতে হবে।
ডিডি/এমএসএম