মহাকাশযান থেকে বেরিয়ে এসে মানুষের সঙ্গে কথা বলেছিল এলিয়েন
মানুষের সঙ্গে ভিনগ্রহের প্রাণী অর্থাৎ এলিয়েনের কথা হয়েছিল, আর সেই ঘটনা সম্পর্কে জানতেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশও। ১৯৬৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোতে এ ঘটনা ঘটে বলে উঠে এসেছে নতুন একটি প্রামাণ্যচিত্রে, যার নাম ‘দ্য এজ অব ডিসক্লোজার’। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) আমাজন প্রাইমে এই প্রামাণ্যচিত্র প্রকাশিত হয়েছে। ‘দ্য ট্রুথ ইজ আউট দেয়ার’ এই বিখ্যাত ধারণা সামনে রেখে তৈরি ডকুমেন্টারিতে জ্যোতির্পদার্থবিদ এরিক ডেভিস জানান, তিনি ব্যক্তিগত আলাপে বুশের কাছ থেকেই ওই ঘটনার বিবরণ শুনেছিলেন। ডেভিস আগাম মহাকাশ হুমকি শনাক্তকরণ প্রোগ্রামের (এএটিআইপি) বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ছিলেন। প্রয়াত সিনেটর হ্যারি রিডের উদ্যোগে মার্কিন কংগ্রেস ২০০৭ সালে এই প্রোগ্রাম চালু করেছিল। এরিক ডেভিস দাবি করেন, বুশ তাকে বলেছিলেন, হলোম্যান বিমানঘাঁটিতে তিনটি নভোযান দেখা যায়। এর মধ্যে একটি রানওয়েতে নামলে সেখান থেকে একটি ভিনগ্রহের প্রাণী নেমে আসে এবং সামরিক কর্মকর্তা ও সিআইএ সদস্যদের সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাৎ করে। ডেভিস বলেন, ওই নভোযান থেকে মানুষ নয়, এমন একটি নেমে আসে এবং পোশাকধারী বিমান বাহিনী ও বেসামরিক সিআইএ কর্মীদের
মানুষের সঙ্গে ভিনগ্রহের প্রাণী অর্থাৎ এলিয়েনের কথা হয়েছিল, আর সেই ঘটনা সম্পর্কে জানতেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশও। ১৯৬৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোতে এ ঘটনা ঘটে বলে উঠে এসেছে নতুন একটি প্রামাণ্যচিত্রে, যার নাম ‘দ্য এজ অব ডিসক্লোজার’। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) আমাজন প্রাইমে এই প্রামাণ্যচিত্র প্রকাশিত হয়েছে।
‘দ্য ট্রুথ ইজ আউট দেয়ার’ এই বিখ্যাত ধারণা সামনে রেখে তৈরি ডকুমেন্টারিতে জ্যোতির্পদার্থবিদ এরিক ডেভিস জানান, তিনি ব্যক্তিগত আলাপে বুশের কাছ থেকেই ওই ঘটনার বিবরণ শুনেছিলেন। ডেভিস আগাম মহাকাশ হুমকি শনাক্তকরণ প্রোগ্রামের (এএটিআইপি) বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ছিলেন। প্রয়াত সিনেটর হ্যারি রিডের উদ্যোগে মার্কিন কংগ্রেস ২০০৭ সালে এই প্রোগ্রাম চালু করেছিল।
এরিক ডেভিস দাবি করেন, বুশ তাকে বলেছিলেন, হলোম্যান বিমানঘাঁটিতে তিনটি নভোযান দেখা যায়। এর মধ্যে একটি রানওয়েতে নামলে সেখান থেকে একটি ভিনগ্রহের প্রাণী নেমে আসে এবং সামরিক কর্মকর্তা ও সিআইএ সদস্যদের সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাৎ করে।
ডেভিস বলেন, ওই নভোযান থেকে মানুষ নয়, এমন একটি নেমে আসে এবং পোশাকধারী বিমান বাহিনী ও বেসামরিক সিআইএ কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তিনি আরও দাবি করেন, ঘটনার বিষয়ে বুশকে জানানো হয়েছিল প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়ার পর। ২০০৩ সালে কয়েক দফা ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় তিনি এই তথ্য পান।
তবে ডেভিস ভিনগ্রহের প্রাণী বা তাদের যানবাহনের বিস্তারিত বর্ণনা দেননি ও কোনো বস্তুগত প্রমাণও উপস্থাপন করেননি।
প্রামাণ্যচিত্রটির মূল কেন্দ্রবিন্দু একটি কথিত গোপন সরকারি ইউএফও পুনরুদ্ধার প্রোগ্রাম ‘লিগ্যাসি প্রোগ্রাম’, যা নাকি কয়েকটি সরকারি সংস্থা ও প্রতিরক্ষা ঠিকাদার পরিচালনা করে। এতে এমন সব সাক্ষাৎকার রয়েছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন কর্মকর্তা দাবি করেন যে ভিনগ্রহের প্রাণী আছে ও তারা পৃথিবীতে এসেছে। যদিও এর পক্ষে নতুন কোনো ‘ভৌত’ প্রমাণ দেখানো হয়নি।
ডেভিস বলেন, ১৯৮৮ সালে রাশিয়ায় বড় ‘টিক-ট্যাক’ আকৃতির একটি অজ্ঞাত উড়ন্ত বস্তু ভেঙে পড়ার পর সেখান থেকে ভিনগ্রহীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এএটিআইপির সাবেক সদস্য ও কোয়ান্টাম পদার্থবিদ হ্যাল পুথফ দাবি করেন, উদ্ধার হওয়া ভিনগ্রহীদের দেহ একই ধরনের ছিল না। তবে তিনি কোনো বর্ণনা দিতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি আরও বলেন, যেই হোক, তারা এখানে আছে ও অনেক দিন ধরেই আছে।
প্রামণ্যচিত্রটিতে কয়েকজন সামরিক সদস্যও সাক্ষাৎকারে জানান, রাশিয়ায় ভেঙে পড়া ওই বস্তুটির সংস্পর্শে এসে তারা শারীরিক আঘাত পেয়েছিলেন। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব মেডিসিনের ইমিউনোলজিস্ট ও ক্যানসার গবেষক গ্যারি নোলান জানান, সিআইএ ও এক অজ্ঞাত অ্যারোস্পেস কোম্পানির প্রতিনিধিরা তার কাছে কয়েকজন আহত সামরিক সদস্যকে নিয়ে যান। তাদের কারও শরীর ভয়ানকভাবে দগ্ধ হয়েছিল ও মস্তিষ্কের ভেতরে আঘাত দেখা যায়।
অবসরপ্রাপ্ত নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী গোয়েন্দা কর্মকর্তা মাইক ফ্লাহার্টি দাবি করেন, একটি অজ্ঞাত যানের সংস্পর্শে আসার পর তিনি চিকিৎসাগত জটিলতা ও ‘জৈবিক প্রভাবের’ শিকার হন।
ডকুমেন্টারিতে বলা হয়, লেগ্যাসি প্রোগ্রামটি সিআইএ, মার্কিন বিমানবাহিনী, ডিপার্টমেন্ট অব এনার্জি ও কিছু প্রতিরক্ষা ঠিকাদার মিলে পরিচালনা করে থাকে। তারা নাকি ধ্বংসপ্রাপ্ত একাধিক মহাকাশযান ও ভিনগ্রহীর দেহ উদ্ধার করেছে। এমনকি, এই প্রোগ্রামের অস্তিত্ব অনেক সময় মার্কিন প্রেসিডেন্টদের কাছ থেকেও গোপন রাখা হয়।
একাধিক মার্কিন আইনপ্রণেতা সতর্ক করে বলেন, ডিপ-স্টেটের সঙ্গে জড়িত আমলারা জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করছেন।
ডকুমেন্টারিতে একসময় বলা হয়, বারবার দেখা গেছে, আমাদের সীমিত আকাশসীমার উপর কিছু উড়ছে, যা আমাদের নয়। আর সেটি কার, তা আমরা জানি না।
যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাট সিনেটর কিরস্টেন গিলিব্র্যান্ড বলেন, ভিনগ্রহ থেকে আসা হুমকির চেয়ে বাস্তব শত্রুদের হুমকি আরও গুরুত্বপূর্ণ। তবে আকাশে অজ্ঞাত কোনো বস্তু থাকলে, সেটাও সমস্যা। কারণ সেটা চীনও হতে পারে, রাশিয়াও হতে পারে বা অন্য কোনো প্রতিপক্ষ।
প্রামাণ্যচিত্রটির পরিচালক ও প্রযোজক ড্যান ফারাহ বলেন, এই কাজ বিষয়টিকে নতুন জায়গায় নিয়ে গেছে। তিনি আশা করেন, প্রামাণ্যচিত্র ইউএফও উদঘাটনের প্রচেষ্টাকে আরও সামনে এগিয়ে দেবে।
সূত্র: দ্য নিউইয়র্ক পোস্ট
এসএএইচ
What's Your Reaction?