ঢাকার ব্যবসায়ী মহলে এক আতঙ্কের নাম ইসহাক আলী মনি। করপোরেট পরিচয়ে আত্মপ্রকাশ করে বড় বড় অফিস ভাড়া নিয়ে অফিস ডেকোরেশন ও প্রতিষ্ঠান চালুর নামে অনেক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বাকিতে কোটি কোটি টাকার মালামাল নিয়ে উধাও হয়ে যান তিনি।
ইসহাক আলী মনিকে ‘মহাপ্রতারক’ আখ্যায়িত করে তাকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাজধানীর ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ক্র্যাব) মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
আরও পড়ুন
- পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলা গায়ের জোরে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে
- জয়ের বক্তব্য শুধু ইতিহাস বিকৃতিই নয়, রাজনৈতিক প্রতারণায় ভরা
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগীদের পক্ষে জে এস টেকনোলজির কর্ণধার সুমন কবির। তিনি বলেন, ইসহাক আলী মনি একজন চরম প্রতারক। তিনি কখনো করপোরেট হাউজের মালিক, কখনো ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক, কখনো হাসপাতালের মালিক আবার কখনো সংবাদপত্রের প্রকাশক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলেন। তিনি অত্যন্ত চটকদার ও বিশ্বাসযোগ্য ভাষায় নিজের পরিচয় তুলে ধরে নানান অজুহাতে মালামাল সংগ্রহ করেন। কিন্তু সময়মতো টাকা পরিশোধ না করে আত্মগোপনে চলে যান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ইসহাক সিডিএ নামের একটি ভুয়া এনজিও এবং লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিকের নাম ব্যবহার করে অনেক ব্যবসায়ী, সরবরাহকারী ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলেন। এসি, ফ্রিজ, আসবাব, ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশসহ মূল্যবান সরঞ্জামাদি তিনি বাকিতে নিয়ে ব্যাংক চেক দেন। কিন্তু ব্যাংকে চেক জমা দিলেই দেখা যায় তার অ্যাকাউন্টে টাকা নেই। এরপর আর তাকে ফোনে পাওয়া যায় না, নম্বর বন্ধ থাকে। মাঝেমধ্যে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়ে হুমকি-ধামকিও দেন। করপোরেট প্রতিষ্ঠানও বাদ যায়নি।
টিটি/কেএসআর/এমএস