মহারাষ্ট্রে এআই সেন্টার উদ্বোধন করলেন গৌতম আদানি

ভারতের শিল্পগোষ্ঠী আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি মহারাষ্ট্রের বারামতিতে একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সেন্টার উদ্বোধন করেছেন। এ সময় তিনি বলেন, এআই–এর যুগে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব তরুণদেরই নিতে হবে। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বারামতিতে বিদ্যা প্রতিষ্ঠানের শরদ পাওয়ার সেন্টার অব এক্সেলেন্স ইন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স উদ্বোধনকালে আদানি বলেন, ভারত এমন এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে প্রবেশ করছে, যেখানে প্রযুক্তি, দক্ষ জনশক্তি ও জাতীয় লক্ষ্য একসঙ্গে এগোতে হবে। তরুণদের তিনি এআই–কে শুধু ব্যবহারকারী হিসেবে নয়, বরং নির্মাতা ও নেতৃত্বদাতা হিসেবে দেখার আহ্বান জানান। এআই নিয়ে মানুষের মধ্যে যে উদ্বেগ আছে, তা স্বীকার করে আদানি বলেন, ইতিহাস দেখায়—প্রতিটি বড় প্রযুক্তিগত পরিবর্তন মানব সম্ভাবনাকেই আরও বিস্তৃত করেছে। শিল্পবিপ্লব থেকে শুরু করে ভারতের ডিজিটাল রূপান্তর—সব ক্ষেত্রেই প্রযুক্তি নতুন সুযোগ তৈরি করেছে। এআইও সাধারণ মানুষের হাতে দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা তুলে দেবে এবং সব শ্রেণির তরুণদের উন্নয়নে অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি করবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, এআই–এ নেতৃত্ব অন্য দেশের ওপর নির্ভর করে গড়ে তোলা যাবে না। বিদেশি অ্যালগ

মহারাষ্ট্রে এআই সেন্টার উদ্বোধন করলেন গৌতম আদানি

ভারতের শিল্পগোষ্ঠী আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি মহারাষ্ট্রের বারামতিতে একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সেন্টার উদ্বোধন করেছেন। এ সময় তিনি বলেন, এআই–এর যুগে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব তরুণদেরই নিতে হবে।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বারামতিতে বিদ্যা প্রতিষ্ঠানের শরদ পাওয়ার সেন্টার অব এক্সেলেন্স ইন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স উদ্বোধনকালে আদানি বলেন, ভারত এমন এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে প্রবেশ করছে, যেখানে প্রযুক্তি, দক্ষ জনশক্তি ও জাতীয় লক্ষ্য একসঙ্গে এগোতে হবে। তরুণদের তিনি এআই–কে শুধু ব্যবহারকারী হিসেবে নয়, বরং নির্মাতা ও নেতৃত্বদাতা হিসেবে দেখার আহ্বান জানান।

এআই নিয়ে মানুষের মধ্যে যে উদ্বেগ আছে, তা স্বীকার করে আদানি বলেন, ইতিহাস দেখায়—প্রতিটি বড় প্রযুক্তিগত পরিবর্তন মানব সম্ভাবনাকেই আরও বিস্তৃত করেছে। শিল্পবিপ্লব থেকে শুরু করে ভারতের ডিজিটাল রূপান্তর—সব ক্ষেত্রেই প্রযুক্তি নতুন সুযোগ তৈরি করেছে। এআইও সাধারণ মানুষের হাতে দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা তুলে দেবে এবং সব শ্রেণির তরুণদের উন্নয়নে অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি করবে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, এআই–এ নেতৃত্ব অন্য দেশের ওপর নির্ভর করে গড়ে তোলা যাবে না। বিদেশি অ্যালগরিদমের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। জাতীয় স্বার্থে তথ্য, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সক্ষমতা দেশের মধ্যেই গড়ে তোলা জরুরি।

আদানি জানান, ভারতের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ও কৌশলগত স্বাধীনতার জন্য নিজস্ব এআই মডেল, শক্তিশালী কম্পিউটিং সক্ষমতা ও টেকসই প্রযুক্তি অবকাঠামো গড়ে তোলা প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, আদানি গ্রুপ ডেটা সেন্টার, ডিজিটাল অবকাঠামো ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানিতে বড় বিনিয়োগ করছে, যা এআই প্রযুক্তিকে শক্তিশালী করবে। এ ক্ষেত্রে গুগল ও মাইক্রোসফটের মতো আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও সহযোগিতা হচ্ছে।

বারামতিভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিদ্যা প্রতিষ্ঠানের অধীনে এই এআই সেন্টারটি গড়ে তোলা হয়েছে। ২০২৩ সালে গৌতম আদানি এ জন্য ২৫ কোটি রুপি অনুদান দেন। এই কেন্দ্রের মাধ্যমে গবেষণা, দক্ষতা উন্নয়ন ও শিল্পমুখী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, কৃষি, স্বাস্থ্য, শাসনব্যবস্থা ও শিল্পখাতে এআই–এর ব্যবহার বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে এবং একাডেমিক প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি খাতের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করা হবে।

সূত্র: এনডিটিভি

এমএসএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow