মা-মেয়ে নৃশংস হত্যাকান্ডের কারণ জানাল সেই আয়েশা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে মা–মেয়েকে হত্যা মামলায় গৃহকর্মী আয়েশা (২০) ও তার স্বামী রাব্বি শিকদারকে গ্রেপ্তারের পর একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার চরকয়া গ্রাম থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আয়েশা হত্যাকাণ্ডের পেছনের কারণও জানিয়েছে। পুলিশ জানায়, চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করেই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে স্বীকার করেছে আয়েশা। তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, তাকে চুরির অপবাদ দেওয়া হয়েছিল—এমন দাবি করে আয়েশা জানিয়েছে, ক্ষোভ থেকেই সে মা–মেয়েকে হত্যা করেছে। মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডে আয়েশা একা জড়িত ছিলেন কিনা, কিংবা ঘটনার পেছনে আর কারও সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা—তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে জানা গেছে, ঘটনার দিন বাসার মালামাল চুরি করার সময় গৃহবধূ লায়লা আফরোজ আয়েশাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। লায়লা তাকে আটকে ফোনে পুলিশ ডাকতে গেলে আয়েশা ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে তাকে হত্যা করে। মায়ের চিৎকার শুনে ঘুম থেকে উঠে ড্রয়িংরুমে আসে নাফিসা বিনতে আজিজ। মায়ের রক্তাক্ত দেহ দেখে হতভম্ব হয়ে পড়লে তাক

মা-মেয়ে নৃশংস হত্যাকান্ডের কারণ জানাল সেই আয়েশা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে মা–মেয়েকে হত্যা মামলায় গৃহকর্মী আয়েশা (২০) ও তার স্বামী রাব্বি শিকদারকে গ্রেপ্তারের পর একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার চরকয়া গ্রাম থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আয়েশা হত্যাকাণ্ডের পেছনের কারণও জানিয়েছে।

পুলিশ জানায়, চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করেই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে স্বীকার করেছে আয়েশা। তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, তাকে চুরির অপবাদ দেওয়া হয়েছিল—এমন দাবি করে আয়েশা জানিয়েছে, ক্ষোভ থেকেই সে মা–মেয়েকে হত্যা করেছে।

মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডে আয়েশা একা জড়িত ছিলেন কিনা, কিংবা ঘটনার পেছনে আর কারও সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা—তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তদন্তে জানা গেছে, ঘটনার দিন বাসার মালামাল চুরি করার সময় গৃহবধূ লায়লা আফরোজ আয়েশাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। লায়লা তাকে আটকে ফোনে পুলিশ ডাকতে গেলে আয়েশা ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে তাকে হত্যা করে। মায়ের চিৎকার শুনে ঘুম থেকে উঠে ড্রয়িংরুমে আসে নাফিসা বিনতে আজিজ। মায়ের রক্তাক্ত দেহ দেখে হতভম্ব হয়ে পড়লে তাকেও ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে আয়েশা। পরে সে নাফিসার স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে বের হয়ে যায়।

গ্রেপ্তারের সময় আয়েশার কাছ থেকে ছয় ভরি স্বর্ণালংকার, একটি ল্যাপটপ, একটি মোবাইল ফোন এবং হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে শাহজাহান রোডের একটি ১৪তলা ভবনের সপ্তম তলার ফ্ল্যাটে লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তার নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিয়াকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে, লায়লা আফরোজের শরীরে প্রায় ৩০টি এবং নাফিসার শরীরে ৪টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow