মা-মেয়ে নৃসংশ হত্যাকান্ড; কি ঘটেছিল প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে মা-মেয়ে হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কারণ হিসেবে চুরি ধরা পড়াকে দায়ী করেছেন গ্রেপ্তার গৃহকর্মী আয়েশার স্বামী রবিউল ইসলাম। তিনি দাবি করেন, বাসা থেকে কিছু জিনিসপত্র চুরি করার সময় গৃহকর্ত্রী লায়লা আফরোজ তাকে দেখে ফেলায় ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটান আয়েশা। বুধবার দুপুরে বরিশালের নলছিটির কয়ার চর এলাকা থেকে আয়েশা ও তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। মোহাম্মদপুর জোনের এএসপি মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি দল এ অভিযান চালায়। হত্যার বিবরণ-গ্রেপ্তার স্বামী রবিউল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, “সে (আয়েশা) কিছু জিনিস চুরি করে এনে আমাকে দেবে—এটাই ভাবছিল। ল্যাপটপ–মোবাইল চুরি করার সময় বাসার ম্যাডাম তাকে পেছন থেকে ধরে ফেলেন। তখন সে হাতে থাকা ছুরি দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। পরে ম্যাডামের মেয়ে এগিয়ে এলে তাকেও আঘাত করে।” পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন সোমবার সকাল ৭টা ৫১ মিনিটে বোরকা পরে বাসায় প্রবেশ করে আয়েশা। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর সকাল ৯টা ৩৬ মিনিটে নাফিসার স্কুল ড্রেস পরে বাসা থেকে বেরিয়ে যান তিনি। সিসিটিভি ফুটেজে এসব স্পষ্ট দেখা যায়। ঘটনার সময় যা ঘটেছিল-নিহত লা

মা-মেয়ে নৃসংশ হত্যাকান্ড; কি ঘটেছিল প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে মা-মেয়ে হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কারণ হিসেবে চুরি ধরা পড়াকে দায়ী করেছেন গ্রেপ্তার গৃহকর্মী আয়েশার স্বামী রবিউল ইসলাম। তিনি দাবি করেন, বাসা থেকে কিছু জিনিসপত্র চুরি করার সময় গৃহকর্ত্রী লায়লা আফরোজ তাকে দেখে ফেলায় ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটান আয়েশা।

বুধবার দুপুরে বরিশালের নলছিটির কয়ার চর এলাকা থেকে আয়েশা ও তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। মোহাম্মদপুর জোনের এএসপি মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি দল এ অভিযান চালায়।

হত্যার বিবরণ-
গ্রেপ্তার স্বামী রবিউল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, “সে (আয়েশা) কিছু জিনিস চুরি করে এনে আমাকে দেবে—এটাই ভাবছিল। ল্যাপটপ–মোবাইল চুরি করার সময় বাসার ম্যাডাম তাকে পেছন থেকে ধরে ফেলেন। তখন সে হাতে থাকা ছুরি দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। পরে ম্যাডামের মেয়ে এগিয়ে এলে তাকেও আঘাত করে।”

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন সোমবার সকাল ৭টা ৫১ মিনিটে বোরকা পরে বাসায় প্রবেশ করে আয়েশা। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর সকাল ৯টা ৩৬ মিনিটে নাফিসার স্কুল ড্রেস পরে বাসা থেকে বেরিয়ে যান তিনি। সিসিটিভি ফুটেজে এসব স্পষ্ট দেখা যায়।

ঘটনার সময় যা ঘটেছিল-
নিহত লায়লা আফরোজ (৪৮) ছিলেন গৃহিণী, আর মেয়ে নাফিসা বিনতে আজিজ (১৫) নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। নাফিসার বাবা আজিজুল ইসলাম জানান, তিনি সকালে স্কুলের উদ্দেশে বের হওয়ার পরই এই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড ঘটে। বাড়ি ফিরে স্ত্রী ও মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান তিনি।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, মাকে হত্যার বিষয়টি বুঝতে পেরে নাফিসা দ্রুত ডাইনিং রুমের ইন্টারকমে ফোন দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ধস্তাধস্তির সময় ইন্টারকমের লাইন খুলে গেলে সে ব্যর্থ হয়। পরে তাকেও ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। বাসার বাথরুম থেকে উদ্ধার হওয়া সুইচ–গিয়ার ছুরি ও ফল কাটার ছুরি দিয়েই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

পূর্বপরিচয় ও পরিকল্পনা-
পুলিশ বলছে, ঘটনার চার দিন আগে কাজ নেন আয়েশা। নিজেকে আয়েশা নামে পরিচয় দিলেও তার প্রকৃত পরিচয় নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। হত্যার পর নাফিসার স্কুল ড্রেস পরে বেরিয়ে গিয়ে নিজের পরিচয় গোপন করার চেষ্টা করেন তিনি।

এই ঘটনায় গৃহকর্তা এম জেড আজিজুল ইসলাম মোহাম্মদপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। দারোয়ান মালেককে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

পুলিশ বলছে, চুরি ধরা পড়ার প্রতিক্রিয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে পরিকল্পনাহীনভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে আয়েশা। তবে ঘটনাটির সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow